নেত্রীর সিদ্ধান্তে সাঈদ খোকনের 'আলহামদুলিল্লাহ'

নগর ভবনে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন মেয়র সাঈদ খোকন। ছবি: দীপু মালাকার
নগর ভবনে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন মেয়র সাঈদ খোকন। ছবি: দীপু মালাকার

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, নেত্রী ভালো মনে করেছেন, আলহামদুলিল্লাহ। নিজের ব্যর্থতা বা সফলতা প্রসঙ্গে বলেছেন, তিনি বেশ কিছু ইতিবাচক পরিবর্তনের সূচনা করেছেন। তবে মানুষের ভুলভ্রান্তি থাকতে পারে।

আজ সোমবার রাজধানীর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাঈদ খোকন এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে ২০১৫ সালে মেয়র নির্বাচিত হন সাঈদ খোকন। আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটির নির্বাচন। তবে এবার আর আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাননি দক্ষিণের মেয়র। আওয়ামী লীগ থেকে মেয়র পদে মনোনয়ন পেয়েছেন শেখ ফজলে নূর তাপস।

নিজের ব্যর্থতার প্রশ্নে সাঈদ খোকন বলেন, ‘ইতিবাচক পরিবর্তনের ধারা সূচনা করতে সক্ষম হয়েছি। মৌলিক সমস্যাগুলো সমাধান করতে সক্ষম হয়েছি। আমি অনেকটাই সফল হয়েছি। আমি মানুষ, আমি ফেরেশতা না। আমার ভুলভ্রান্তি থাকতে পারে।’ তিনি জানান, তাঁর অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ দিয়ে পরবর্তী মেয়রকে সাহায্য করবেন।

মনোনয়ন না পাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সাঈদ খোকন নেত্রীর সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন জানিয়ে বলেন, ‘আমার নেত্রী (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) আমার জন্য যা ভালো মনে করেছেন, আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ।’ তাঁর নিজের কোনো ভুল আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমি সে ব্যাপারটি বিন্দুমাত্র লক্ষ করছি না। আমার জন্য যেটা ভালো মনে করেছেন, উনি সেটা করেছেন। আমি খুশি, আলহামদুলিল্লাহ।’

মেয়র প্রার্থীকে সহায়তার প্রশ্নে মেয়র বলেন, ‘আমাদের পুরান ঢাকার প্রতিনিধিত্ব সাধারণত প্রথাগতভাবে পুরান ঢাকার মানুষই করে থাকেন। পুরান ঢাকার অনেক মুরুব্বি আছেন, নেত্রীর সঙ্গে আলাপ–আলোচনা করব। পরে আপনাদের সিদ্ধান্ত জানাব।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে সাঈদ খোকন বলেন, ‘ইতিবাচক পরিবর্তনের সূচনা করতে সক্ষম হয়েছি। এই ধারা অব্যাহত থাকবে। পরবর্তী মেয়র তা এগিয়ে নিয়ে যাবেন। যিনিই মেয়র হন, তাঁর প্রতি আমার সার্বিক সহযোগিতা থাকবে।’ তাঁর এই উত্তরে মেয়রপ্রার্থী শেখ ফজলে নূরকে সমর্থন দেওয়া নিয়ে দ্বিচারিতা আছে কি না, সাংবাদিকেরা জানতে চান। জবাবে মেয়র বলেন, ‘একেবারেই নেই। অভিভাবক (শেখ হাসিনা), ঢাকাবাসীর পরামর্শের প্রয়োজন রয়েছে। এ ছাড়া আমি একজন পূর্ণ মন্ত্রীর মর্যাদায় মেয়রের দায়িত্বে আছি। সেখানে আইনগত বিষয় রয়েছে। সেগুলো আলাপ–আলোচনা করে জানাব।’

নিজের কাজ সম্পর্কে সাঈদ খোকন জানান, আগামী ১৭ মে পর্যন্ত মেয়র হিসেবে তাঁর মেয়াদ আছে। এ সময়ে তিনি তাঁর কাজ চালিয়ে যাবেন। ‘জলসবুজে ঢাকা’ প্রকল্পের কাজ প্রায় ৮০ শতাংশের বেশি হয়েছে। আগামী দু-তিন মাসে তা শেষ করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘কিছু প্রকল্প আছে, সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। আশা করছি, জনগণের ভোটে নির্বাচিত মেয়র যিনি আসবেন, তিনি বাকি কাজ সমাপ্ত করবেন। একজনের পক্ষেই তো সমস্ত কিছু হয় না। আমি শুরু করে দিয়ে গেলাম, বাকি কাজ যিনি আসবেন তিনি করবেন। এটাই প্রক্রিয়া। এভাবেই আমাদের শহর, দেশ এগিয়ে যাবে।’

আরও পড়ুন:
সারা দিন বাসা থেকে বের হননি সাঈদ খোকন