থাপ্পড়ের বদলা নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রকে খুন

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী

থাপ্পড়ের বদলা নিতেই নাটোরের রাজশাহী সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটির স্নাতক শেষ বর্ষের ছাত্র কামরুল ইসলামকে (২৩) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই খুনের বর্ণনা দিয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেপ্তার হওয়া মিনহাজ হোসেন (২০)। মিনহাজ এনএস সরকারি কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের ছাত্র

আজ শনিবার সকালে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় নাটোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দেন আসামি মিনহাজ।

আসামির জবানবন্দির বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার জানান, কামরুল ও মিনহাজ সদর উপজেলার হালসা গ্রামের ছেলে। তাঁরা দুজন প্রায়ই একসঙ্গে নাটোর শহর থেকে গ্রামে ফিরতেন। মাসখানেক আগে গ্রামে ফেরার সময় ভ্যানে বসা নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হলে মিনহাজকে ভ্যান থেকে নামিয়ে দেন কামরুল। এ সময় মিনহাজকে একটি থাপ্পড়ও মারেন কামরুল। এ ঘটনার পর প্রতিশোধ নেওয়ার কথা ভাবতে থাকেন মিনহাজ। ৪ জানুয়ারি রাত সাড়ে আটটার দিকে মিনহাজ ফোন করে কামরুলকে বাড়ির বাইরে আসতে বলেন। পরে কামরুলকে বিলের পাড়ে নিয়ে পেছন থেকে চাপাতি দিয়ে ঘাড়ে আঘাত করেন মিনহাজ। কামরুল দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত বাঁচতে পারেননি তিনি। ক্রমাগত আঘাত করে তাঁকে হত্যার পর বাঁ চোখ উপড়ে নেওয়া হয়। পরে লাশটি পাশের বাঁশঝাড়ে নিয়ে আগাছা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়।

পুলিশ সুপার আরও জানান, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতি ও নিহত কামরুলের ট্যাব উদ্ধার করা হয়েছে। জবানবন্দি দেওয়ার পর কামরুলকে গতকাল সন্ধ্যায় নাটোর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকরামুল ইসলাম, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সৈকত হাসান ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক সামসুজ্জোহা উপস্থিত ছিলেন।

৫ জানুয়ারি সকালে গ্রামের একটি বাঁশঝাড়ে কামরুলের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীর বোন রেহেনা আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এক কলেজছাত্রীসহ অন্তত আটজনকে পুলিশ আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

আরও পড়ুন:
বাঁশঝাড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রের লাশ, আটক ৭