দেশে এক লাখ মানুষের জন্য একজন বিচারক

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।  প্রথম আলো ফাইল ছবি ছবি
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। প্রথম আলো ফাইল ছবি ছবি

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, দেশের বিচারাধীন মামলা নিষ্পত্তিতে বিচারকের সংখ্যা অপ্রতুল। বর্তমানে প্রতি এক লাখ মানুষের জন্য মাত্র একজন বিচারক রয়েছেন।

আজ জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির (জাপা) সাংসদ মুজিবুল হকের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এই তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।

আনিসুল হক বলেন, প্রতি এক লাখ মানুষের জন্য দেশে মাত্র একজন বিচারক রয়েছেন। যেখানে ভারতে ৫০ হাজার জনে একজন, ইংল্যান্ডে ২০ হাজার জনে একজন, আমেরিকা, ফ্রান্স ও ইতালিতে ১০ হাজার জনে একজন বিচারক রয়েছেন।

মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশের আপিল বিভাগের বিচারপতি আছেন সাতজন। এখানে মামলা আছে ২২ হাজার ৫৯৬টি। হাইকোর্ট বিভাগের ৯৭ জন বিচারপতির বিপরীতে মামলা আছে চার লাখ ৯০ হাজার ৮০০টি। অধস্তন আদালতে এক হাজার ৯৬৭ জন বিচারকের বিপরীতে ৩১ লাখ ২৭ হাজার ২৪৩ টি মামলা রয়েছে।

১৫৩ নারী ইউএনও
জাতীয় পার্টির রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, দেশে বর্তমানে ১৫৩ জন নারী কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিসেবে কর্মরত আছেন।

সাংসদ মনজুর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী জানান, গত ১০ বছরে (২০১০-২০১৯) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ৩০ হাজার ৩০১ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ সময়ে পিএসসি নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য ৬৭ হাজার ২০৩ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করে।

চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিলের পরিকল্পনা নেই
জাতীয় পার্টির মসিউর রহমানের প্রশ্নের জবাবে ফরহাদ হোসেন জানান, জনস্বার্থে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পদ্ধতি মহামান্য রাষ্ট্রপতির এখতিয়ারভুক্ত একটি বিশেষ ব্যবস্থা, যা বাতিল করার কোনো পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই।

প্রতিমন্ত্রী জানান, বিশেষায়িত পদে এবং যেসব সরকারি প্রতিষ্ঠান/সংস্থায় উপযুক্ত যোগ্যতাসম্পন্ন জনবল সংকট রয়েছে যে সকল প্রতিষ্ঠান/সংস্থায় উপযুক্ত সামরিক/অসামরিক কর্মকর্তা/কর্মচারী এবং জনসাধারণের মধ্য থেকে বিশেষ যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়ার মাধ্যমে দাপ্তরিক কার্যক্রম চলমান রাখা হয়। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ না দেওয়া হলে স্বাভাবিক দাপ্তরিক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

৬৯৮ বর্গ কিমি মেরিন রিজার্ভ
সরকারি দলের সাংসদ এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম জানান, সামুদ্রিক মাছের নিরাপদ বিচরণ ও প্রজননের জন্য সরকার বঙ্গোপসাগরের ৬৯৮ বর্গকিলোমিটার এলাকাকে মেরিন রিজার্ভ এলাকা ঘোষণা করেছে। ওই এলাকা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নৌবাহিনীকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

সরকারি দলের সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারির প্রশ্নের জবাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশে মৎস্য চাষ উপযোগী সরকারি জলাশয়ের সংখ্যা ৪৮ হাজার ৮৩১টি। এসব জলাশয়ের মোট আয়তন তিন লাখ ৮৪ লাখ ১২৪ দশমিক ৫৬ হেক্টর।