সাগরে নিম্নচাপের পূর্বাভাস, বৃষ্টি আরও বাড়তে পারে

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

পাঁচ দিন ধরে চলা বৃষ্টি নতুন গতি পেতে যাচ্ছে। এত দিন ধরে দেশের ভেতরের জলীয় বাষ্প মেঘ হয়ে আকাশে উড়ে গিয়ে বৃষ্টি হয়ে ঝরেছে। এবার বঙ্গোপসাগর থেকে একদল মেঘ বাংলাদেশের উপকূলের দিকে আসি আসি করছে। ওই মেঘমালার উৎপত্তি অবশ্য বঙ্গোপসাগরের অদূরে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছে। সেখানে একটি লঘুচাপ তৈরি হয়েছে। কাল বুধবারের মধ্যে তা নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।

সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাস বলছে, নিম্নচাপটি আগামী দুই দিনের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ ও ভারতীয় উপকূলের কাছাকাছি চলে আসতে পারে। এর প্রভাব বাংলাদেশের বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। দেশের অন্যত্র মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথাও বলছে তারা। ফলে সারা দেশে যে বৃষ্টি চলছে, তার স্থায়িত্ব আরও চার থেকে পাঁচ দিন বাড়তে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদেরা।
অন্যদিকে বৈশ্বিক আবহাওয়াবিষয়ক সংস্থা আকু ওয়েদার বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে যাওয়া নিম্নচাপটি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। চলতি বছরের প্রথম একটি ঘূর্ণিঝড় বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ৩০ এপ্রিল থেকে ৫ মের মধ্যে এর প্রভাব থাকবে। ২ মের মধ্যে এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। আর সেটি হলে এর আগাম নাম ঠিক করা আছে ‘আম্ফান’। তবে মৌসুমি বায়ু আসার আগের এই সময়ে কোনো নিম্নচাপ খুব বেশি শক্তি সঞ্চয় করতে পারে না। তবে এর সঙ্গে প্রচুর মেঘ তৈরি হয়। ফলে এর প্রভাব যতটা না বাতাস বইবে, তার চেয়ে বেশি ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা বেশি।
তবে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদেরা মনে করছেন, আপাতত নিম্নচাপটির মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে এটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
এ ব্যাপারে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, পাঁচ দিন ধরে যে ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে, তা আজ বুধবারও অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের অনেক স্থানে বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ দেশের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে টাঙ্গাইলে, ৭৭ মিলিমিটার। আর রাজধানীতে চার মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতেও মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। আজও একই ধরনের বৃষ্টিপাত হতে পারে। রাত ও দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে।