ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলীয় স্কুল-কলেজগুলো আশ্রয়কেন্দ্র করার নির্দেশ

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

‘সুপার ঘূর্ণিঝড়’ আম্পান মোকাবিলায় উপকূলীয় এলাকার স্কুল-কলেজগুলো জনসাধারণের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে খুলে দেওয়ার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে মাউশি বলেছে, আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা সংগ্রহ করে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে পাঠাবেন। এরপর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সমন্বিত তালিকা মাউশির নিয়ন্ত্রণকক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের পাঠাবেন।

এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে উপদ্রুত এলাকায় যদি কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে ঘূণিঝড়–পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি নমুনা ছকও করে দিয়েছে মাউশি।

বাংলাদেশের উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্পান। এটি ইতিমধ্যে ‘সুপার ঘূর্ণিঝড়ে’ পরিণত হয়েছে। চলতি শতাব্দীতে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এটিই প্রথম সুপার ঘূর্ণিঝড়। এর আগে ২০০৭ সালের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় সিডরও সুপার ঘূর্ণিঝড় ছিল না।

গতকাল সোমবার রাত নয়টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমান গতি-প্রকৃতি বজায় থাকলে ঘূর্ণিঝড়টি আজ মঙ্গলবার রাতের শেষ ভাগ থেকে আগামীকাল বুধবার বিকেল বা সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে।