আষাঢ়ে বৃষ্টি সহজে থামছে না, ৩ নম্বর সতর্কতা

আষাঢ় মাসের শুরু থেকে প্রতিদিনই আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে থাকছে। বৃষ্টির হয়নি—এমন দিন নেই বললেই চলে। বৃষ্টির এই দাপট সহজে কমছে না। আরও দিন তিনেক চলতে পারে। সেই সঙ্গে সাগর থেকে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার কারণে উপকূলীয় এলাকায় ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ শুক্রবার সকালের পূর্বাভাসে বল হয়েছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ ছাড়া মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। এ কারণে আজ ও কাল রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায়ও ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ভারী বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি অঞ্চলে ভূমিধস হতে পারে। আগামী তিন বৃষ্টির প্রবণতা থাকবে।

আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্ষাকাল (মৌসুমি বায়ু) পুরোদমে চলে আসায় টানা রৌদ্রোজ্জ্বল দিন থাকবে না। কারণ, আগামী তিন দিন বৃষ্টির প্রবণতা কমবে না। আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান প্রথম আলোকে বলেন, ২১ জুন পর্যন্ত বৃষ্টি হবে। কিন্তু ধীরে ধীরে এর মাত্রা কমবে। এরপর ২৫ জুন পর্যন্ত বৃষ্টি কিছুটা কম হবে। তবে যেহেতু এখন বর্ষাকাল, তাই টানা কয়েক দিন রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া না থাকার সম্ভাবনাই বেশি।

গতকাল বৃহস্পতিবার সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজারে ২০২ মিলিমিটার। এ ছাড়া কুতুবদিয়ায় ১৫৮, সন্দ্বীপে ১২৮, হাতিয়ায় ১২২, চট্টগ্রামে ৭২, পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় ১৪৭, বাগেরহাটের মোংলায় ১৫, রাজশাহীতে ৩৬, সিলেটে ৪০, ময়মনসিংহে ২২, রংপুরে ৩, বরিশালে ২২ ও ঢাকা জেলায় ৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা বেশ কম রয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ঢাকা জেলায় ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।