সুরমা-কুশিয়ারার উৎসমুখে পানি কমছে

ওপারে ভারী বৃষ্টি না হওয়ায় সিলেটের প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারার উৎসমুখে পানি কমছে। সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা থেকে নেমেছে। বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছিল কুশিয়ারা নদীর উৎসমুখের সীমান্তবর্তী জকিগঞ্জের অমলসিদ পয়েন্টে। সেখানেও পানি কমছে। তবে কুশিয়ারার ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

আজ শনিবার সকাল ও দুপুরে দৈনিক পানির স্তর–সম্পর্কিত তথ্য থেকে এ কথা জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ শহীদুজ্জামান সরকার।

সীমান্তের ওপারে একটানা ভারী বৃষ্টি হওয়ায় বাড়ছিল সুরমা ও কুশিয়ারার পানি। গতকাল শুক্রবার সকালের দিকে সুরমার উৎসমুখের কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার স্তরে অবস্থান করছিল। একই সময়ে কুশিয়ারা নদীর উৎসমুখে ভারতের বরাক নদীর মোহনায় পানি বাড়ায় অমলসিদ পয়েন্টে কুশিয়ারার পানি বাড়ছিল। আজ সকাল ও দুপুরে দুটো পয়েন্টে সুরমা ও কুশিয়ারার পানি কমেছে।

পাউবো সিলেটের দৈনিক পানির স্তর–সম্পর্কিত তথ্যে দেখা গেছে, সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে আজ সকাল ৬টায় ১২ দশমিক ৪৫ মিটার থেকে কমে দুপুর ১২টায় ১২ দশমিক ৩৮ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কানাইঘাট পয়েন্টে সুরমার পানির বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৭৫ মিটার। একই সময় সুরমা নদীর সিলেট শহর পয়েন্টে ৯ দশমিক ৯১ মিটার থেকে নেমে ৯ দশমিক ৮৭ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

কুশিয়ারার অমলসিদ পয়েন্টে গতকাল সন্ধ্যায় ১৫ দশমিক শূন্য ৭ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। আজ সকাল ছয়টায় সেখানে ১৪ দশমিক ৯৬ মিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। দুপুর ১২টায় পানি আরও এক ধাপ কমে ১৪ দশমিক ৯৪ মিটার প্রবাহিত হয়। অমলসিদ থেকে ফেঞ্চুগঞ্জ পর্যন্ত কুশিয়ারা নদীর চারটি পয়েন্টে পানির প্রবাহ পরিমাপ করা হয়। চারটি পয়েন্টের মধ্যে শুধু ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল সন্ধ্যা থেকে আজ দুপুর পর্যন্ত সেখানে পানি কমছিল না আবার বাড়ছিল না। দুপুর ১২টায় ফেঞ্চুগঞ্জ দিয়ে ৯ দশমিক ৮৫ মিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমা ৯ দশমিক ৮৫ মিটার।

সুরমা ও কুশিয়ারা ছাড়াও সিলেটের সীমান্ত নদী হিসেবে পরিচিতি সারী, লোভা ও ধলাইয়ের পানি কমছে। কানাইঘাটের লোভাছড়া এলাকায় লোভা নদীর পানি গতকাল সন্ধ্যায় ১৩ দশমিক ৭৩ মিটার থেকে নেমে দুপুর ১২টায় ১৩ দশমিক ৫৫ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। জৈন্তাপুর উপজেলার সারীঘাট পয়েন্টে সারী নদীর পানি গতকাল সন্ধ্যায় ১০ দশমিক ৩৭ মিটার থেকে নেমে দুপুরে ১০ দশমিক ৩১ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। আর ভারতের চেরাপুঞ্জি থেকে নেমে আসা ধলাই নদের পানি কোম্পানীগঞ্জের ইসলাপুর পয়েন্টে পানির স্তর স্থিতিশীল রয়েছে। সেখানে গতকাল সন্ধ্যা থেকে আজ দুপুর পর্যন্ত পানি ৯ দশমিক ৮৪ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।