শ্রমিকনেতা শহিদুল হত্যায় পোশাক শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের কেউ জড়িত নন, দাবি সংবাদ সম্মেলনে

বাংলাদেশ পোশাক শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের (বিজিআইডব্লিওএফ) সংবাদ সম্মেলন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, ঢাকা, ৯ জুলাই
ছবি: প্রথম আলো

গাজীপুরের টঙ্গীতে শ্রমিকনেতা শহিদুল ইসলাম হত্যার সঙ্গে বাংলাদেশ পোশাক শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের (বিজিআইডব্লিওএফ) কেউ জড়িত নন বলে দাবি করেছে সংগঠনটি।

আজ রোববার সকালে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি করে বিজিআইডব্লিওএফ।

শহিদুল বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল শ্রমিক ফেডারেশনের গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি ছিলেন। গত ২৫ জুন রাতে সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত হন তিনি। টঙ্গীর সাতাইশ বাগানবাড়ী এলাকার ‘প্রিন্স জ্যাকার্ড সোয়েটার লিমিটেড’ নামের কারখানায় শ্রমিকদের পাওনা টাকা আদায়ের কাজ করতে গিয়েছিলেন শহিদুল। সেখানে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে কিছু দূর যেতেই অতর্কিত হামলার শিকার হন তিনি। পরে তাঁকে গাজীপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

আরও পড়ুন

শহিদুল হত্যার ঘটনায় ২৬ জুন টঙ্গী পশ্চিম থানায় ৬ আসামির নাম উল্লেখ করে মামলা করেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কল্পনা আক্তার। মামলায় অজ্ঞাত সাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

শহিদুল হত্যার ঘটনা নিয়ে আজ ডিআরইউতে সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিজিআইডব্লিওএফের সাধারণ সম্পাদক সাখায়াত হোসেন। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, এই ঘটনায় (হত্যাকাণ্ড) বিজিআইডব্লিওএফের কোনো নেতা-কর্মী জড়িত নন। বিজিআইডব্লিওএফের দাবি, প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্তে ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হোক। সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন সঠিকভাবে পর্যালোচনা করা হোক। এজাহারভুক্ত আসামিদের মুঠোফোনের লোকেশন (অবস্থান) খতিয়ে দেখা হোক। তাহলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

আরও পড়ুন

সাখায়াত হোসেন বলেন, তাঁরাও চান, সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে শহিদুল হত্যার বিচার নিশ্চিত হোক। তবে এই ঘটনায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁদের সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে, তাঁরা এই মামলা প্রত্যাহার চান। বিজিআইডব্লিওএফের গ্রেপ্তার নেতা মাজহারুলের মুক্তি দাবি করছেন তাঁরা।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, শহিদুল হত্যা মামলায় নাম উল্লেখ করা ছয় আসামির মধ্যে প্রথম তিনজন (মাজহারুল, আকাশ ও রাসেল) বিজিআইডব্লিওএফের নেতা-কর্মী। ৪ নম্বর আসামি (রিপন) বিজিআইডব্লিওএফের হয়ে কাজ করলেও তিনি সংগঠনের কোনো পদে নেই। ৫ নম্বর আসামি সোহেল আগে এই সংগঠন করতেন, কিন্তু এখন আর করেন না। মাজহারুল, আকাশ ও রাসেল ঘটনার সময় অন্যত্র অবস্থান করছিলেন। তাঁদের ব্যাপারে এজাহারে যা উল্লেখ করা হয়েছে, তা কাল্পনিক ও ভিত্তিহীন।

আরও পড়ুন

বিজিআইডব্লিওএফের সভাপতি তুহিন চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কারখানাটিতে (প্রিন্স জ্যাকার্ড সোয়েটার লিমিটেড) তাঁদের সংগঠনের কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রম নেই, কখনো ছিল না। ঘটনার সময় কারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন, তা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে নিশ্চিত করা হোক। তবে তাঁদের সংগঠনের কেউ সেখানে ছিলেন না।

আরও পড়ুন