জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজে অভিযানের প্রস্তুতি নিয়ে যা বলল মালিকপক্ষ
সোমালিয়ার উপকূলে জিম্মি ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে উদ্ধার করতে দেশটির পুলিশ ও বিভিন্ন দেশের নৌবাহিনীর সদস্যরা অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সোমালিয়ার আধা স্বায়ত্তশাসিত পান্টল্যান্ড অঞ্চলের পুলিশের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স আজ সোমবার এ খবর প্রকাশ করেছে। তবে জাহাজটির মালিকপক্ষ বলেছে, এ ধরনের অভিযানের বিষয়ে তাঁরা কিছু জানেন না। নাবিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার ওপরই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন তাঁরা।
১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে বাংলাদেশি জাহাজটি ছিনতাই করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। জাহাজটি এখন সোমালিয়ার গদভজিরান উপকূলের কাছে নোঙর করা আছে। জাহাজটিতে জলদস্যুরা ওঠার পরপরই একটি যুদ্ধজাহাজ ও একটি দূরপাল্লার টহল জাহাজ মোতায়েন করেছিল ভারতীয় নৌবাহিনী। বাংলাদেশি জাহাজটি সোমালিয়া উপকূলে নেওয়া পর্যন্ত সেটির কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান নিয়ে অনুসরণ করেছিল ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ। এর মধ্যে শনিবার ভারতীয় নৌবাহিনীর সদস্যরা সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে মাল্টার পতাকাবাহী কার্গো জাহাজ এমভি রুয়েন উদ্ধার করেন।
এর দুই দিনের মাথায় আজ পান্টল্যান্ড পুলিশ জানায়, এমভি আবদুল্লাহকে দখল করে রাখা জলদস্যুদের বিরুদ্ধে অভিযানে অংশ নিতে প্রস্তুত রয়েছে তারা। তাদের এক বিবৃতিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক নৌ সেনারা জলদস্যুদের ওপর আক্রমণের পরিকল্পনা করছেন বলে খবর পাওয়ার পর পান্টল্যান্ড পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। এ বিষয়ে রয়টার্সের পক্ষ থেকে জানতে চাইলে কিছু বলেনি ভারতীয় নৌবাহিনী।
তবে জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার হলো নাবিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনা। এ ধরনের অভিযানের বিষয়ে আগেও সরকার থেকে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন নৌবাহিনীর কাছে সুস্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে।’
এর আগে ১৪ মার্চ ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী এমভি আবদুল্লাহর নাবিকদের উদ্ধারে অভিযান চালানোর প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে বাংলাদেশ সরকার তাতে সম্মতি দেয়নি বলে মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব খুরশেদ আলম একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে আলোচনায় জানান। সেখানে তিনি বলেন, নাবিকদের জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবে ওই প্রস্তাবে সরকার ও মালিকপক্ষ রাজি হয়নি।