বাড্ডায় নারীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় মামলা

হত্যা
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর বাড্ডার গুদারাঘাট এলাকায় আফরোজা সুলতানা নামের এক নারীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন নিহত আফরোজার ভাই আবদুল মজিদ। এ ঘটনায় আফরোজার স্বামী আইয়ান ফারিস ও গাড়ির চালক হৃদয় ব্যাপারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, আর্থিক লেনদেন, ধর্ম ও বিদেশে যেতে চাওয়া—এই তিন কারণে ওই নারীকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। এই ক্লু বা সূত্রগুলো সামনে রেখে হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটনের চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া বাসার সিসিটিভি ফুটেজ পেয়েছে পুলিশ। প্রায় ছয় ঘণ্টার ওই ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ওই ফ্ল্যাটে কেউ প্রবেশ করেছিল কি না, সেটা জানার চেষ্টা চলছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) উপকমিশনার (গুলশান বিভাগ) মশিউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই হত্যার পেছনে কয়েকটি কারণ পাওয়া গেছে। সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি।’

এর আগে গতকাল রোববার রাত ১০টার দিকে রাজধানীর বাড্ডার গুদারাঘাট এলাকার একটি বাসা থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশের একটি সূত্র বলছে, আফরোজা সুলতানা একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। প্রায় ছয় বছর প্রেমের পর গত জানুয়ারিতে আইয়ান ফারিসকে বিয়ে করেন তিনি। আফরোজা মুসলমান হলেও তাঁর স্বামী ছিলেন বড়ুয়া। বিয়ের পর থেকে স্বামীর পরিবারের সঙ্গে ঝামেলা ছিল। সম্প্রতি তিনি কানাডায় যেতে চেয়েছিলেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব হয়েছিল কি না, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। এ ছাড়া আর্থিক লেনদেনের একটি বিষয়ও সামনে এসেছে। পুলিশ বলছে, আফরোজার কাছ থেকে গাড়ির চালক হৃদয় কয়েক দফা টাকা ধার নিয়েছিলেন। কিন্তু টাকা পরিশোধ করেননি হৃদয়। এই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আফরোজার ভাইয়ের করা মামলার অভিযোগে বলা হয়, ধারালো অস্ত্র দিয়ে অজ্ঞাত আসামিরা তাঁর বোনকে পরিকল্পিতভাবে গলা কেটে হত্যা করেছেন।

আরও পড়ুন