সুলতানা কামাল সেতুর 'এক্সপানশন জয়েন্টের' রাবার উঠে গেছে

রাজধানীর ডেমরায় সুলতানা কামাল সেতুর দুটি ‘এক্সপানশন জয়েন্টের’ রাবার পুরোপুরি উঠে গেছে। এর ফলে সংযোগস্থলের ৩ থেকে সাড়ে ৩ ইঞ্চি অংশ পুরোপুরি ফাঁকা হয়ে গেছে। ব্রিজের ওপর দিয়ে গাড়ি যাতায়াতের সময় এ দুটি স্থানে শব্দ হচ্ছে। ব্রিজটির অন্যান্য এক্সপানশন জয়েন্টের অধিকাংশের রাবারও কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কম্পনের কারণে সেতুর বিভিন্ন অংশের সম্প্রসারণ ও সংকোচন নিশ্চিত করার জন্য সেতুর সংযোগস্থলে কিছু ফাঁক রাখা হয়। যানবাহনের চলাচল সাবলীল রাখার জন্য ওই অংশটি আবার রাবার দিয়ে মুড়িয়ে দেওয়া হয়।
২০১০ সালে প্রায় ৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে বালু ও শীতলক্ষ্যা নদীর সংযোগস্থলে সুলতানা কামাল সেতুটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেতুর এক প্রান্তে ডেমরা, অন্য প্রান্তে নারায়ণগঞ্জের তারাবো পৌরসভা। সেতুটির দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৭২ মিটার, প্রস্থ ১০ মিটার। প্রতিদিন এই সেতু দিয়ে রূপগঞ্জ, নরসিংদীসহ বৃহত্তর সিলেটের বিপুলসংখ্যক যানবাহন চলাচল করে।
সেতুর তত্ত্বাবধায়ক সড়ক ও জনপথঅধিদপ্তর। তারা বলছে এটি ঝুঁকির কোনো বিষয় নয়।
গতকাল সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুটি সর্বমোট ২৪টি এক্সপানশন জয়েন্ট রয়েছে। ডেমরার দিক থেকে সেতুটির ১৬ ও ১৭ নম্বর জয়েন্ট ২টির রাবার সম্পূর্ণ উঠে গেছে। যানবাহন যখন পার হচ্ছে, তখন জোরে শব্দ হচ্ছে। বাকি ২২টির মধ্যে ১৪টির অবস্থা ভালো, ৮টির রাবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, রাবার সরে গিয়ে এক্সপানশন জয়েন্ট দীর্ঘদিন এভাবে উন্মুক্ত থাকলে সংযোগস্থলের ইস্পাতের পাত এবং নিচের দিকে লাগানো বেয়ারিং ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর এক্সপানশন জয়েন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেতুর সম্প্রসারণ ও সংকোচনক্ষমতা কমে যাবে, যার কারণে পুরো সেতুই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে।
তবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন বলেন, ‘সেতুর সংযোগস্থলের রাবার মাঝেমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আবার মেরামত করা হয়। এতে ঝুঁকির কিছু নাই। মেরামত করা আমাদের রুটিন কাজ। এটা শিগগির মেরামত করা হবে।’