ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের দুই নেতার ওপর হামলা

কাউসার হাসান ওরফে কায়েস ও সাব্বির হোসেন
ছবি: সংগৃহীত

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের দুই শীর্ষ পদপ্রত্যাশীর ওপর হামলা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সাত কলেজ শাখার নিয়ন্ত্রণ চেয়ে চলমান তৎপরতার মধ্যে বুধবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের অভিযোগ, হামলাকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তবে এ ঘটনায় জড়িতদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

হামলায় আহত দুই নেতা হলেন কাউসার হাসান ওরফে কায়েস ও সাব্বির হোসেন। তাঁরা দুজনই ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ পদপ্রত্যাশী। এর মধ্যে কাউসারের আঘাত গুরুতর। এই হামলার এক দিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সাত কলেজ শাখার নিয়ন্ত্রণ চেয়ে চলমান তৎপরতার বিরুদ্ধে নিউমার্কেট এলাকায় বিক্ষোভ করেন ঢাকা কলেজ শাখার নেতা-কর্মীরা।

হামলায় আহত ছাত্রলীগ নেতা কাউসার হাসান বলেন, ‘রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ফটকসংলগ্ন আমতলার ফটকের সামনে দিয়ে আসার সময় একটি মোটরসাইকেল তাদের মোটরসাইকেলের সামনাসামনি হয়। ওই মোটরসাইকেলে থাকা ব্যক্তিরা আমাদের মোটরসাইকেলের সামনে এসে বলে যে নেশা করেছিস নাকি? এ সময় তারা আমাদের গালিগালাজও করে। পরে দুই পক্ষই সরি (দুঃখিত) বলে যে যার মতো চলে যাই।’

আরও পড়ুন

কাউসার আরও বলেন, ‘এই ঘটনার কিছু সময় পর ওই মোটরসাইকেলে থাকা ব্যক্তিরা আরও চারটি মোটরসাইকেল নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় আমাদের গতিরোধ করে। একপর্যায়ে আমরা মোটরসাইকেল থেকে নামলে তারা আমাদের গালিগালাজ করতে থাকে। এর মধ্যে একজন “ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ করিস?” বলেই আমাদের ওপর হামলা করে। পরে পুলিশ আসার পর তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। যারা হামলা করেছে, তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরই হবে। এই হামলা পূর্বপরিকল্পিত বলে মনে হয়েছে।’

আরও পড়ুন

আহত কাউসার ও সাব্বিরকে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সাব্বিরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হলেও আঘাত গুরুতর হওয়ায় কাউসারকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।

এদিকে হামলার ঘটনার পরপরই গভীর রাতে ঢাকা মেডিকেলে ছুটে যান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, কাউসারের একটি চোখে গুরুতর আঘাত হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কাউকে সুনির্দিষ্টভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। জড়িতদের শনাক্ত করা গেলে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।