মানববন্ধনে দেওয়া বক্তব্যে বিজেসির চেয়ারম্যান রেজোয়ানুল হক বলেন, ‘সাংবাদিকেরা নিরাপদে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। সর্বশেষ গত বুধবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের ওপর পুলিশি হামলা হয়েছে। আমরা আশা করেছিলাম পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে কিছু বলবেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু তা হয়নি।’
রেজোয়ানুল হক আরও বলেন, ‘সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় বিচার চাই। অভিযুক্তদের যথাযথ শাস্তি চাই। আহত সাংবাদিকদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ও চিকিৎসা সহায়তার দায় নিতে হবে। সাংবাদিকেরা আহত হবেন, তারপর প্রতিবাদ করব—এভাবে চলতে পারে না। এই ঘটনায় বিচার না পেলে আমরা আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব।’
মানববন্ধনে সাংবাদিকেরা বলেন, হামলার বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। কোনো ঘটনা ঘটার পর সাংবাদিকেরা শুধু ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে যাতে বসে না থাকেন, সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন ঐক্যবদ্ধ হয়ে যাতে আন্দোলন করে সে আহ্বানও জানান সাংবাদিক নেতারা।
মানববন্ধনে বিজেসির সদস্যসচিব শাকিল আহমেদ বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা খুবই ন্যক্কারজনক। আমাদের রাস্তায় দাঁড়ানোর কথা নয়, কিন্তু আমরা এ ঘটনায় রাস্তায় দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সর্বোচ্চ মহল থেকে এ হামলার ঘটনায় ব্যবস্থা নিতে হবে। আর আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করতে পারলে অন্যরা বুঝে নেবেন যে সাংবাদিকদের গায়ে হাত দেওয়া যাবে না। আমরা বিচার না পাওয়া পর্যন্ত মাঠে থাকব।’
বিজেসির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মানস ঘোষ, নির্বাহী সদস্য শাহনাজ শারমীনসহ মানববন্ধনে অন্য সাংবাদিকেরা বলেন এবারের এই প্রতিবাদই হোক শেষ প্রতিবাদ। রাষ্ট্র যেন সাংবাদিকদের আর রাস্তায় দাঁড়াতে বাধ্য না করে সে আহ্বানও জানান তাঁরা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সাংবাদিকেরা যাতে সমান্তরালে কাজ করতে পারে সে ধরনের সুষ্ঠু পরিবেশের নিশ্চয়তাও চান সাংবাদিকেরা।