সিদ্দিকবাজারের ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও দুজনের লাশ উদ্ধার

সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও দুজনের লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। আজ বিকেলে
দীপু মালাকার

রাজধানীর সিদ্দিকবাজারের একটি ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে দুজনের লাশ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এ নিয়ে এ বিস্ফোরণের ঘটনায় ২০ জন নিহত হলেন।

উদ্ধার হওয়া দুজনের একজন হলেন মমিনুদ্দিন সুমন। তিনি বিধ্বস্ত ভবনের নিচতলার ব্যবসায়ী। আনিকা এজেন্সির মালিক সুমনের আরও কয়েকটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে সব মিলিয়ে কর্মীর সংখ্যা শতাধিক। অন্যজন রবিন হোসেন (২০)। তিনি সুমনের দোকানের কর্মী। রবিনের ভাই শাহাদত হোসেন তাঁর লাশ সনাক্ত করেন। রাজধানীর জুরাইনে থাকতেন রবিন। তাঁর বাড়ি শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলায়।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে গুলিস্তানে বিআরটিসি বাস কাউন্টারের কাছে সিদ্দিকবাজারে কুইন স্যানিটারি মার্কেট হিসেবে পরিচিত সাততলা ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ভবনের দুই পাশে আরও দুটি বহুতল ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় গতকালই ১৮ জন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া যায়। ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিনজনের নিখোঁজ থাকার কথা জানানো হয়। আজ সকাল থেকে আবার নতুন করে উদ্ধার অভিযান শুরু ফায়ার সার্ভিস। সেই উদ্ধার অভিযানের সময় বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

আরও পড়ুন

ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের সহকারী পরিচালক আকতারুজ্জামান বলেন, দুজনের লাশ ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ দুটি উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন

আকতারুজ্জামান আরও বলেন, র‍্যাবের ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে লাশ দুটির সন্ধান পাওয়া যায়। তিনি বলেন, ‘ভবনের বেজমেন্টের একটা জায়গায় অনেক মাছি ছিল। সেখানে মরদেহ থাকতে পারে—এটা ভেবে আমরা র‍্যাবের ডগ স্কোয়াড কাজে লাগাই। প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় আমরা শুধু লক কাটার ব্যবহার করেছি।’

আরও পড়ুন

এদিকে উদ্ধারকাজের অংশ হিসেবে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের বেজমেন্টে জমে থাকা পানি অপসারণের কাজ শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। আজ বিকেল পৌনে চারটার দিকে এ কাজ শুরু হয়। ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, সাততলা ভবনটির পানির ট্যাংক ও সেপটিক ট্যাংক ফেঁটে ভবনটির বেজমেন্টে পানি জমে যায়। ঘটনাস্থল থেকে দেখা গেছে, পাম্প দিয়ে সেচে পানি অপসারণের কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। পাশাপাশি দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সাততলা ভবনটির নিচতলায়, যে অংশ দিয়ে বেজমেন্টে যেতে হয়, সেখানে পড়ে থাকা ধ্বংসস্তূপ হাত দিয়ে সরানোর কাজ করছেন তাঁরা।