যমুনা অভিমুখে যাওয়ার চেষ্টা প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের, সাউন্ড গ্রেনেড–কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ–লাঠিচার্জ

শিক্ষার্থীদের লক্ষ করে জলকামান দিয়ে পানি ছুড়ছে পুলিশছবি: সাজিদ হোসেন

তিন দফা দাবিতে প্রকৌশলের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের বাধা দেয় পুলিশ।

পুলিশের লাঠিচার্জ
ছবি: সাজিদ হোসেন

বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। একপর্যায়ে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। জলকামান দিয়ে পানি ছোড়ে।

জলকামান দিয়ে পানি ছুড়ছে পুলিশ
ছবি: সুজয় মহাজন

পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ লাঠিচার্জ করে। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান।

কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ
ছবি: সাজিদ হোসেন

আজ বুধবার বেলা দেড়টার পর এই ঘটনা ঘটে। এর আগে পূর্বঘোষিত ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা শাহবাগের মূল সড়কে অবস্থান নেন। এতে বন্ধ হয়ে যায় শাহবাগ ও আশপাশের সড়ক।

পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধস্তাধস্তি হয়েছে
ছবি: সাজিদ হোসেন

বেলা দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীরা যমুনা অভিমুখে রওনা দেন। তাঁরা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড় পেরোনোর চেষ্টা করেন। তখন পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়।

এই ঘটনায় কয়েকজন শিক্ষার্থী ও পুলিশ আহত হয়েছেন।

আহত আহসান উল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাইম মির্জা প্রথম আলোকে বলেন, ‘মিছিলের সামনে ছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দের সঙ্গে কিছু একটা এসে আমার বাঁ পায়ে আঘাত করে।’

পুলিশি অ্যাকশন
ছবি: সাজিদ হোসেন

একই দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার পাঁচ ঘণ্টা শাহবাগ অবরোধ করেছিলেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবির মধ্যে রয়েছে—ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নামের আগে প্রকৌশলী লিখতে না দেওয়া। ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের কাউকে পদোন্নতি দিয়ে ৯ম গ্রেডে উন্নীত না করা। ১০ম গ্রেডের চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে স্নাতক প্রকৌশলীদের সুযোগ দেওয়া।

আরও পড়ুন
পুলিশের লাঠিচার্জ
ছবি: সাজিদ হোসেন

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনারের (ডিসি) মাসুদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, সমাধান নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা চলছিল। সচিবালয়ে তিনজন উপদেষ্টা এটা নিয়ে কাজ করছেন। শিক্ষার্থীদের বলা হয়েছিল, শাহবাগে অবস্থান করতে। আধঘণ্টার ভেতরে তাঁদের সমস্যার সমাধান হবে। আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা শিক্ষার্থীরা বেলা তিনটা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে রাজিও হয়েছিলেন। কিন্তু আলোচনা চলাকালীন হঠাৎ শিক্ষার্থীরা যমুনা অভিমুখে রওনা হন। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে যমুনার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন তাঁদের ছত্রভঙ্গ করা হয়। এ সময় পুলিশকে লক্ষ করে ইট-পাটকেল ছোড়া হয়। এই ঘটনায় কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন শিক্ষার্থীরা।
ছবি: সাজিদ হোসেন

বিকেল ৪টার দিকে শিক্ষার্থীরা ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে অবস্থান করছিলেন। সেখানে থাকা বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাইয়াজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘পুলিশের হামলায় আমাদের ৩৫ জনের বেশি আহত হয়েছেন। দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা সড়ক ছাড়ব না।’