সুস্থ থাকার মন্ত্রে নানা আয়োজনের ফ্লো ফেস্ট
শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার মন্ত্রে আয়োজিত হলো তিন দিনব্যাপী ফ্লো ফেস্ট। এতে ছিল ইয়োগা, নাচ, ধ্যান, গল্প, থিয়েটার, আর্ট, ফিটনেস সেশন ও বই প্রকাশসহ একশর বেশি কার্যক্রম। ফেস্ট ছিল সবার জন্য উন্মুক্ত।
‘বি ইন ইয়োর ফ্লো’ স্লোগান সামনে রেখে রাজধানীর গুলশান–২ এর বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ পার্কে গত বৃহস্পতিবার শুরু হয় এই ফেস্ট। আজ শনিবার ছিল উৎসবের তৃতীয় ও শেষ দিন। সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে এ আয়োজন।
মেলায় ছিল পাঁচটি গ্রাউন্ড—ইয়োগা সালা, মেডিটেশন গার্ডেন, আর্ট সোল জোন, প্লে-গ্রাউন্ড এবং অ্যাম্ফিথিয়েটার। পাঁচটি গ্রাউন্ডই দিনভর ছিল নানা আয়োজনে ব্যস্ত।
ইয়োগা ও ওয়েলনেস উৎসব হিসেবে ইতিমধ্যে আয়োজনটি দেশে জায়গা করে নিয়েছে। ২০২২ সাল থেকে বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ পার্কে এ আয়োজন করা হচ্ছে। প্রতিবছরই এর পরিসর বাড়ছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা। সবার জন্য উন্মুক্ত এ আয়োজনে গতকাল অংশ নেন বিপুল দর্শনার্থী।
ফ্লো ফেস্টের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাজিয়া ওমর বলেন, ‘শারীরিক ও মানসিকভাবে সুন্দর জীবনযাপনে উদ্বুদ্ধ করা এবং সুস্থতার চর্চাকে দৈনন্দিন জীবনের অংশ করে তোলার জন্য আমাদের এ আয়োজন। আমরা চাই, প্রতিটি মানুষ সুস্থ থাকুক; ওষুধ ছাড়া সুস্থভাবে বাঁচুক।’
শাজিয়া ওমর বলেন, ‘স্বপ্নটি বাস্তবায়ন করার জন্য আমরা প্রতিবছর একটি ফ্লো ফেস্টের আয়োজন করি। এখানে বিভিন্ন ধরনের ইয়োগা ও মেডিটেশনের প্রশিক্ষকদের আনা হয়। সুস্থতার জন্য প্রয়োজন আমাদের মুভমেন্ট, মেডিটেশন, ক্রিয়েটিভিটি আর কানেকশন।’
অ্যাডভেঞ্চার জোনে মাতে শিশুরা
মেলায় শিশুদের জন্য চিত্রাঙ্কন, অ্যাডভেঞ্চার জোন ও বায়োস্কোপের ব্যবস্থা ছিল। বেজক্যাম্পের আয়োজনে অ্যাডভেঞ্চার জোনে নতুন নতুন অভিজ্ঞতা নিয়েছে শিশুরা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন বয়সী শিশুরা নতুন নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করে। বেজক্যাম্পের চারটি জোন হলো—জিপ লাইন, ট্রি টপ, আর্চারি, জুমারিং।
গুলশানের সিডনি ইন্টারন্যাশনালে পড়ে পাঁচ বছরের আরিহা। বাবার সঙ্গে মেলায় অ্যাডভেঞ্চার জোনের ট্রি টপে নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে সে। আরিহার বাবা আবদুল আউয়াল বলেন, ‘পাশেই থাকি; ওর স্কুলও এখানে। ফ্লো ফেস্টের ব্যতিক্রমী আয়োজনে অংশ নিতে এসেছি। খুবই ভালো উদ্যোগ। এখানে সবকিছু নেই। তবে শুরুটা হয়েছে। শিশুদের জন্য ঠিক আছে।’
বারিধারা থেকে বাবার সঙ্গে এসেছে ছয় বছরের নাকিদ। সে অংশ নিয়েছে জিপ লাইনে। এতে অংশ নিতে পেরে তার চোখেমুখে উচ্ছ্বাস।
বেজক্যাম্পের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ আবির হোসেন বলেন, ‘বেজক্যাম্পে চারটি জোন রয়েছে। এগুলোর মাধ্যমে নতুন নতুন অভিজ্ঞতা হবে। জিপ লাইনের মাধ্যমে সাহস বাড়বে। ট্রি টপের মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস বাড়বে। আর্চারির মাধ্যমে নিশানা বা লক্ষ্য ঠিক হবে। জুমারিংয়ের মাধ্যমে ভয়কে জয় করতে পারবে। প্রত্যকের প্রতিভা তুলে ধরাই আমাদের লক্ষ্য।’