নটর ডেমের ফটকে অপেক্ষা করছিল বাবা, ভেতর থেকে এল ছেলের রক্তাক্ত দেহ
আগামী মাসে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। তাই আজ সোমবার নটর ডেম কলেজ থেকে প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে গিয়েছিল ধ্রুবব্রত দাস। ছেলের সঙ্গে গিয়েছিলেন বাবা বাণীব্রত দাসও। বাবা-ছেলে মিলে দুপুরে গোপীবাগের বাসা থেকে কলেজে যান। কিন্তু অভিভাবকদের ক্যাম্পাসে ঢুকতে না দেওয়ায় কলেজের মূল ফটকের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন বাণীব্রত। কিছুক্ষণ পর দেখতে পান, সহপাঠীরা তাঁর ছেলেকে রক্তাক্ত অবস্থায় রিকশায় তুলছেন। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা ছেলেকে মৃত ঘোষণা করেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, আজ বেলা সোয়া তিনটার দিকে ধ্রুবব্রত দাস কলেজের ‘ফাদার টিম’ ভবনের পঞ্চম তলার বারান্দা থেকে নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। বিকেল চারটার দিকে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালে আসা ধ্রুবব্রতর সহপাঠী নাফিজ রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা হঠাৎ একটি শব্দ পাই। তারপর দেখি ধ্রুবব্রত রক্তাক্ত অবস্থায় নিচে পড়ে আছে। আমরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি। আমাদের ধারণা, হয়তো ভবনের বারান্দা থেকে অসাবধানতাবশত সে নিচে পড়ে গেছে।’
ধ্রুবব্রত দাসের বাবা বাণীব্রত দাস প্রথম আলোকে বলেন, ছেলের জন্য বাইরে অপেক্ষা করছিলেন। কিছুক্ষণ পর দেখলেন ছেলের সহপাঠীরা ধ্রুবকে রক্তাক্ত অবস্থায় রিকশায় তুলছেন। ছেলে কীভাবে ভবন থেকে পড়ে গেল তা তিনি জানেন না।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, নটর ডেম কলেজের এক শিক্ষার্থীকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি মতিঝিল থানার পুলিশকে জানানো হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. রেজওয়ানুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে ধ্রুবব্রত রেলিংয়ে বসেছিল। অসাবধানতাবশত সে নিচে পড়ে গিয়ে মারা যায়। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে নিবিড়ভাবে তদন্ত করছে পুলিশ। এ ঘটনায় মতিঝিল থানায় অপমৃত্যুর একটি মামলা হয়েছে।