তুরাগে বিস্ফোরণে দগ্ধ ৮ জনের ৬ জনই মারা গেলেন

আগুন
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর তুরাগের কামারপাড়ায় ভাঙারির দোকানে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম আল আমিন (৩০)। এ নিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ আটজনের মধ্যে ছয়জনের মৃত্যু হলো।

গতকাল সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আল আমিন। তাঁর বাড়ি জামালপুর সদরে। তাঁর বাবার নাম মুছা মিয়া। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন আরও দুজন।

বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক এসএম আইউব হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, আল আমিনের শরীরের ৭৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দগ্ধ দুজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য আল আমিনের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত শনিবার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই দিন রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় নূর হোসেন (৬০), গাজী মাজহারুল ইসলাম (৪৫) ও আলমগীর হোসেন আলম (২৩) মারা যান। পরদিন রোববার রাতে মারা যান মিজানুর রহমান (৩৫) নামের একজন। আর গতকাল রাতে মারা যান মাসুম আলী (৩৫) ও আল আমিন (৩০)।

বিস্ফোরণে দগ্ধ মো. শাহীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি গত শনিবার প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ওই দিন বেলা ১১টার দিকে তিনি ভাঙারির দোকানের পাশের রিকশার গ্যারেজে বসে ছিলেন। হঠাৎ বিস্ফোরণে তিনি দগ্ধ হন।

ভাঙারির দোকানের সামনে পানি নিষ্কাশনের লাইনে পুরোনো পারফিউমের বোতল পড়ে বন্ধ হয়ে ছিল। এগুলো সেখান থেকে তুলছিলেন একজন। এ সময় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তাঁরা বিস্ফোরণের সময় ভাঙারির দোকানের পাশের রিকশা গ্যারেজে ছিলেন।