ওসি মনিরুলের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে দুদকের কর্মকর্তা নিয়োগ

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের অনুমোদন ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার ওই অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ৫ আগস্ট প্রথম আলোয় ‘ঢাকায় ওসির আটতলা বাড়িসহ বিপুল সম্পদ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রতিবেদনটি যুক্ত করে ওসি মনিরুলের বিপুল সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ অনুসন্ধানে নির্দেশনা চেয়ে ১০ আগস্ট একটি রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক। সেদিন শুনানি নিয়ে আদালত অভিযোগের বিষয়ে রিট আবেদনকারীকে দুদকে আবেদন করতে বলেন। সেই সঙ্গে রিটের শুনানি ২১ আগস্ট পর্যন্ত স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) করেন আদালত। এর ধারাবাহিকতায় রোববার বিষয়টি ওঠে।

এদিকে ওসির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধান নিয়ে রিট আবেদনকারী ১১ আগস্ট দুদকে আবেদন দেন।

আদালতে রিটকারীর পক্ষে আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক, দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান, ওসির পক্ষে আইনজীবী মাহবুব শফিক ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন শুনানিতে ছিলেন।

ওসির বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করা বিষয়ে ১৭ আগস্ট দুদক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে আদালতকে জানান আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। এরপর অভিযোগের অনুসন্ধান তিন মাসের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দিয়ে আদালত রিটটি নিষ্পত্তি করে দেন।

‘ঢাকায় ওসির আটতলা বাড়িসহ বিপুল সম্পদ’ শিরোনামে প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ওসি মনিরুল ইসলাম ঢাকায় আটতলা বাড়ি করেছেন। বানাচ্ছেন আরেকটি ডুপ্লেক্স বাড়ি। ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জে তাঁর রয়েছে চারটি প্লট।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর হাউজিং সোসাইটিতে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি দখলেরও অভিযোগ রয়েছে ওসির বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন