ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে র‍্যালি ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ

ওয়ার্ল্ড হ্যান্ড হাইজিন ডে উপলক্ষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ (আইপিসি) কমিটি র‍্যালি করেছে। গতকাল বুধবার সকালেছবি: সংগৃহীত

৫ মে ছিল ওয়ার্ল্ড হ্যান্ড হাইজিন ডে। এই দিবস উপলক্ষে গতকাল বুধবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ (আইপিসি) কমিটি র‍্যালি করেছে। হাত পরিষ্কার রাখার মাধ্যমে রোগের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এই আয়োজন করা হয়।

এ সময় আইপিসি কমিটির উদ্যোগে ঢামেক হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ৫০০ হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।

র‍্যালিতে উপস্থিত ছিলেন ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ও আইপিসি কমিটির সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. নাজমুল হক।

আরও উপস্থিত ছিলেন ঢামেকের অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম চৌধুরী, উপাধ্যক্ষ আবদুল হানিফ টাবলু, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান ও আইপিসি কমিটির উপদেষ্টা সভাপতি এস এম সামসুজ্জামান, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও আইপিসি কমিটির সদস্য সচিব কাকলী হালদার প্রমুখ।

র‍্যালি শেষে অর্থোপেডিক বিভাগের ওয়ার্ডে দায়িত্বরত নার্স ও ভর্তি থাকা একজন রোগীকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং লিফলেট প্রদান করে সচেতনতামূলক কার্যক্রমের সূচনা করেন কাকলী হালদার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্বীকৃত হাত ধোয়ার সাতটি ধাপ ছবির মাধ্যমে দেখানো হয়েছে এসব লিফলেট। এগুলো সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা আনবে বলে মনে করেন আয়োজকেরা। এ ছাড়া হাসপাতালের ওয়ার্ডে সেবাদানকারীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে হাত পরিষ্কার করার পাঁচটি জরুরি মুহূর্তের ছবি সংবলিত লিফলেট বিতরণ করা হয়।

হাতের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে জানতে হবে সবাইকেই। কেবল হাসপাতালে ভর্তি রোগীই নয়, প্রতিটি ঘরে, প্রতিটি পরিবারের সদস্যদের হাতের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। খাবার প্রস্তুত করার আগে, খাওয়ার আগে, চোখ-নাক-মুখ স্পর্শ করার আগে, নবজাতক ও শিশুদের স্পর্শ করার আগে, বাইরে থেকে ফেরার পর, শৌচকর্মের পর, যেকোন রোগীর সেবা করার পর, নিয়মমাফিক সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে সবাইকেই। সবক্ষেত্রে হাত ধোয়ার সুযোগ না পেলে প্রয়োজনে হ্যান্ড স্যনিটাইজারও ব্যবহার করা যাবে নিয়ম মেনে।