ভাসানটেকে একই পরিবারের অগ্নিদগ্ধ ছয়জনের একজন মারা গেলেন

প্রতীকী ছবি

রাজধানীর ভাসানটেকের একটি বাসায় মশার কয়েল জ্বালাতে গিয়ে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ মেহেরুননেছা (৭০) মারা গেছেন। আজ শনিবার সকাল ৮টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

গতকাল শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে ভাসানটেকের কালভার্ট রোডের আসবাবপত্র ব্যবসায়ী লিটনের বাসায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে আসবাবপত্র ব্যবসায়ী মো. লিটন (৫২), তাঁর শাশুড়ি মেহেরুননেছা (৭০), স্ত্রী সূর্য বানু (৪০), দুই মেয়ে লিজা (১৮), লামিয়া (৭) ও ছেলে সুজন (৮) দগ্ধ হয়।

সিলিন্ডারের পাইপে ছিদ্র থাকায় বাসায় গ্যাস জমে ওই অগ্নিকাণ্ড হয়েছে বলে ধারণা করছেন প্রতিবেশীরা।

মেহেরুননেছার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তারিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, মেহেরুননেছার শরীরের ৪৭ শতাংশ পুড়েছিল। ওই ঘটনায় দগ্ধ মেহেরুননেছার জামাতা লিটন, মেয়ে নাতি-নাতনিসহ চিকিৎসাধীন বাকি পাঁচজনের অবস্থাও সংকটজনক। তাঁদের সবার শ্বাসনালি পুড়ে গেছে।

আরও পড়ুন

প্রতিবেশী ময়না বেগম গতকাল বলেন, গ্যাস সিলিন্ডারটি ঘরের বাইরে ছিল। কিন্তু পাইপের মাধ্যমে ঘরের মধ্যে চুলার সংযোগ ছিল। পাইপে ছিদ্র থাকায় ঘরে গ্যাস জমে মশার কয়েল জ্বালানোর সময় আগুন ধরে যেতে পারে বলে ধারণা তাঁর।