দগ্ধ সেই নারীর মৃত্যু, স্বামী বললেন, মাছ কাটা নিয়ে ঝগড়ার পর চড় মেরেছিলেন তিনি

দগ্ধ ফাহমিদা আক্তার
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি দগ্ধ গৃহবধূ ফাহমিদা আক্তার মারা গেছেন। তাঁর শরীরের ৯৯ শতাংশ আগুনে পুড়ে গিয়েছিল। ফাহমিদার স্বামীর দাবি, মুরগি ও মাছ কাটা নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর চড় মেরেছিলেন তিনি। এরপর ফাহমিদা নিজের শরীরে আগুন লাগিয়ে দেন।

আজ সোমবার বেলা ৩টা ৫০ মিনিটে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ফাহমিদার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক এস এম আইয়ুব হোসেন বলেন, আগুনে ফাহমিদার শরীরের ৯৯ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল।

ফাহমিদা তাঁর স্বামী পারভেজ খানের সঙ্গে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আমবাগিচা এলাকায় থাকতেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি বরিশালের হিজলা উপজেলায়। গতকাল রোববার দগ্ধ অবস্থায় ফাহমিদাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন পারভেজ খান।

পারভেজ খানের ভাষ্যমতে, তিনি মুরগি ও মাছ কিনে বাসায় এসে ফাহমিদাকে কেটে রাখতে বলেন। ফাহমিদা জানান, তিনি পারবেন না। পরে পারভেজ নিজেই মুরগি কাটেন আর স্ত্রীকে মাছ কাটতে বলেন। বিষয়টি নিয়ে তাঁদের দুজনের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। পরে ফাহমিদা তাঁর বাবাকে ফোন করেন। তখন তিনি (পারভেজ) তাঁকে চড় মারেন। এরই এক ফাঁকে ফাহমিদা স্টোভের চুলা থেকে কোরোসিন শরীরে ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন।

বিষয়টি সম্পর্কে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহজামান প্রথম আলোকে বলেন, এ ধরনের কোনো তথ্য তাঁর জানা নেই। তবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া গতকাল প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ফাহমিদার আগুনে পোড়ার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন