ছবিতে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বিএনপি–জামায়াতের মিছিল, অবস্থান
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের অনলাইনে ঘোষিত ‘লকডাউন’ কর্মসূচি ঘিরে আজ বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকার পথে পথে অবস্থান নিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতা–কর্মীরা। কোথাও কোথাও মিছিল করেন তাঁরা।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করা মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ‘লকডাউন’ কর্মসূচি দিয়েছে।
এ কর্মসূচি ঘিরে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন জায়গাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় যানবাহনে আগুন দেওয়া ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।
কর্মসূচি প্রতিরোধ করতে ও যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে পথে নেমেছেন বিএনপি–জামায়াতের নেতা–কর্মীরা। সকাল ৭টার আগেই শ্যামলীতে লাঠিসোঁটা নিয়ে মিছিল করতে দেখা যায় বিএনপির কর্মীদের।
মাজার রোডে ভোর থেকে জামায়াতের নেতা–কর্মীদের অবস্থান নিতে দেখা যায়। তাঁরা লাঠি হাতে সড়কের পাশে চেয়ার পেতে বসেন। এ ছাড়া জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সামনেও জামায়াতের নেতা–কর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন।
যাত্রাবাড়ী এলাকায় সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মিছিল করেন যাত্রাবাড়ী থানা জামায়াতের নেতা–কর্মীরা। এরপর সাড়ে ৯টার দিকে হাইকোর্ট এলাকায় ইসলামী ছাত্রশিবিরের মিছিল বের হয়।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ঘিরেও লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান নিয়েছেন জামায়াতের নেতা–কর্মীরা।
সকাল ১০টার পরে যাত্রাবাড়ী মোড়ে অবস্থান নিয়ে মিছিল করেন জামায়াত–শিবিরের নেতা–কর্মীরা।
রায়ের তারিখ ঘোষণা ও আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঘিরে যেকোনো নাশকতা ঠেকাতে আজ ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ডিএমপির ১৭ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এর বাইরে মোতায়েন থাকছেন সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যরাও।
ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও গোপালগঞ্জে গতকাল বুধবার রাত থেকে আজ ভোর পর্যন্ত পাঁচটি যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।