আরেক মামলায় আরজে নীরবসহ দুজন রিমান্ডে

আরজে হুমায়ুন কবির নীরব
সংগৃহীত

এবার রাজধানীর লালবাগ থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রিপন মিয়াকে দুই দিন এবং প্রতিষ্ঠানটির বিপণন ও জনসংযোগ বিভাগের প্রধান হুমায়ুন কবির ওরফে আরজে নীরবকে এক দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ সোমবার এ আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) হেলাল উদ্দিন।

আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, গ্রাহকের ৬৫ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় কিউকমের রিপন ও নীরবকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, গত ১৬ জুন কিউকমে ২৩ গ্রাহক মোটরসাইকেল ও টিভি কিনতে ক্রয়াদেশ দেন। পণ্য কেনা বাবদ ৬৫ লাখ ৭৩ হাজার ৫৩৩ টাকা জমা দেন। কিন্তু তাঁদের পণ্য সরবরাহ করেনি কিউকম। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রিপন, নীরব, তানভীরসহ অজ্ঞাতনামা পাঁচ থেকে ছয়জনের বিরুদ্ধে রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ নামের এক গ্রাহক ৬ অক্টোবর লালবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।

এর আগে পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ও প্রতারণার মামলায় ৩ অক্টোবর কিউকমের সিইও মো. রিপন মিয়াকে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ।

আরও পড়ুন

পণ্য সরবরাহ না করে ৫৬ লাখ ৫৭ হাজার ৬৮৯ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কিউকমের সিইও রিপন মিয়া, তাঁর স্ত্রী সৈয়দা তাসমিনা তারিন, আরজে নীরবসহ ছয়জনকে আসামি করে ৭ অক্টোবর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় মামলা করেন আবদুল্লাহ খান নামের এক গ্রাহক। পরদিন রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে আরজে নীরবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সিএমএম আদালত তাঁকে এক দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকম ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বাজারমূল্যের চেয়ে কমে পণ্য দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের ধোঁকা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন

পুলিশ জানায়, কিউকম লক্ষাধিক পণ্য অনলাইনে বিক্রি করত। ক্রেতা আকৃষ্ট করতে তারা ‘বিজয় আওয়ার’, ‘স্বাধীনতা আওয়ার’ ও ‘বিগ বিলিয়ন’ নামে ২ থেকে ১৫ দিন সময় দিয়ে ১ লাখ ৬৭ হাজার টাকার মোটরসাইকেল ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় বিক্রির প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু সময়মতো পণ্য সরবরাহ না করায় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা করেন ক্রেতারা।

সম্প্রতি ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, কিউকমের ৩৯৭ কোটি টাকা তৃতীয় পক্ষের কাছে জমা আছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রিপন জানিয়েছেন।