এভাবে ‘শাসনটা’ আসলে সমীচীন নয়: ছাত্রলীগ সভাপতি

আল নাহিয়ান খান
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল পর্যায়ের এক নেত্রীকে সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও হল পর্যায়ের দুই জ্যেষ্ঠ নেত্রীর মারধরের অভিযোগের তদন্ত করছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। ছাত্রলীগের সভাপতি বলছেন, অভিযোগের সত্যতা মিলেছে।

২১ ডিসেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ ও বঙ্গবন্ধু টাওয়ার এলাকায় ওই মারধরের ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার নেত্রী হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফাল্গুনী দাস আর অভিযোগ ওঠা দুই নেত্রী হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন নাহার হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াসমিন শান্তা ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেনজীর হোসেন। তবে অভিযুক্ত দুই নেত্রী দাবি করেছেন, ‘বেয়াদবি’ করায় তাঁরা ফাল্গুনীকে ‘শাসন’ করেছেন।

ওই ঘটনায় ছাত্রলীগ আনুষ্ঠানিক কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করেনি। কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বয়ং এর তদন্ত করছেন। জানতে চাইলে ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা (সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক) দুজন টিম হয়ে ঘটনাটির তদন্ত করছি। অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। একটা কথাই বলব, এভাবে শাসন করাটা আসলে সমীচীন নয়।’

এদিকে বিচারের জন্য এখনো ছাত্রলীগের দিকে তাকিয়ে মারধরের শিকার ফাল্গুনী দাস। রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি থাকা এই নেত্রী প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘আমি অবশ্যই এই ঘটনার বিচার চাই। এখনো আমি আশাবাদী যে ছাত্রলীগ এ ঘটনায় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে।’

ফাল্গুনী দাস
ছবি: সংগৃহীত

ফাল্গুনী দাস ২৩ ডিসেম্বর প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় আমি বেনজীরের ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশের অভিযোগ সম্পর্কে কিছু কথা বলেছিলাম। কোনো একটি মাধ্যমে সেটি জানতে পেরে সোমবার রাত ১২টার দিকে আমাকে ফোন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের সামনে যেতে বলেন বেনজীর। সেখানে তাঁর সঙ্গে জিয়াসমিন শান্তাও ছিলেন। আমাকে নানা জিজ্ঞাসাবাদ ও মুঠোফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা। একপর্যায়ে তাঁরা আমাকে মারতে উদ্যত হলে আমি সেখান থেকে দৌড়ে চলে আসার চেষ্টা করি। বেনজীর ও জিয়াসমিন আমাকে পেছন থেকে ধাওয়া করেন। আইন অনুষদের কাছে বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের সামনে তাঁরা আমাকে ধরে ফেলেন এবং মাটিতে ফেলে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। ...তাঁরা আমার মুখও খামচে দেন। রাস্তায় পড়ে গিয়ে আমার হাত-পা ও মাথায় আঘাত লেগেছে। বেনজীরের অনুসারী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা শাহ জালাল আমার মুঠোফোনটি ছিনিয়ে নেন। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম ও দায়িত্বরত পুলিশ গিয়ে আমাকে উদ্ধার করে।’

আরও পড়ুন