ধর্ষকের বিচার দাবিতে আজও উত্তরার রাস্তায় শিক্ষার্থীরা

ধর্ষকের বিচার দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো মানববন্ধন-বিক্ষোভ করছেন রাজধানীর উত্তরার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। উত্তরা, ঢাকা, ৬ অক্টোবরছবি: আল-আমিন

সিলেটে এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে তরুণী ধর্ষণ, নোয়াখালীতে নারীর ওপর নির্মম নির্যাতনসহ সারা দেশে ধর্ষণ-নিপীড়নের প্রতিবাদে টানা তৃতীয় দিনের মতো রাজধানীর উত্তরায় সড়কে মানববন্ধন-বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।

আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে থেকে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয়।

কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, মাইলস্টোন কলেজ, উত্তরা হাইস্কুল, নবাব হাবিবুল্লাহ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও এই কর্মসূচিতে যুক্ত আছেন।

আরও পড়ুন

পূর্বঘোষণা অনুযায়ী বেলা ১১টার দিকে বিএনএস সেন্টারের সামনে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। পরে তাঁরা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড, ব্যানারসহ ধর্ষণবিরোধী নানা লেখা নিয়ে রাস্তায় অবস্থান নেন। এ সময় তাঁরা ধর্ষকের বিচার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

শিক্ষার্থীদের হাতে থাকা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ডে লেখা রয়েছে—‘ধর্ষণমুক্ত দেশ চাই, ধর্ষকের ফাঁসি চাই’, ‘নারী কোনো পণ্য নয়, নারী কোনো ভোগ্য নয়’ প্রভৃতি।

আরও পড়ুন

শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন, ‘মানুষ তুমি চুপ কেন?’, ‘আমার সোনার বাংলায় ধর্ষকের ঠাঁই নাই’ প্রভৃতি।

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ধর্ষণ বা যেকোনো নিপীড়নের ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন বিষয় নয়। ক্ষমতার অপব্যবহার করে এভাবে নারীদের ওপর অত্যাচার আমরা আর মানতে পারছি না। নারী কোনো ভোগ্য পণ্য হতে পারে না। ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দেওয়া না হলে এটা কখনোই থামবে না।’

আরও পড়ুন

ধর্ষকের বিচার দাবিতে উত্তরায় দুই দিন ধরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। গত রোববার সকালে তাঁরা বিএনএস সেন্টারের সামনে জড়ো হয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভে অংশ নেন।

একই দাবিতে গতকাল সোমবার সকালেও তাঁরা বিএনএস সেন্টারের সামনে জড়ো হন। এ সময় প্রথমে পুলিশ তাঁদের পথ রোধ করার চেষ্টা করে। পরে তাঁরা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে সড়কে নামেন। একপর্যায়ে তাঁরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উত্তরার হাউস বিল্ডিং এলাকায় এসে সড়ক অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকার পর দুপুর দুইটার দিকে বিক্ষোভ মিছিলের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি শেষ হয়। গতকালের ঘোষণা অনুযায়ী আজও সকালেও তাঁরা কর্মসূচিতে অংশ নেন।

আরও পড়ুন

কর্মসূচির নেতৃত্বে থাকা শিক্ষার্থীদের একজন লাবিব মুহান্নাদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি একটাই, আমরা ধর্ষকের ফাঁসি চাই। এটা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন করে যাব।’

আরও পড়ুন