মুক্তিযুদ্ধের পরও বীরাঙ্গনারা নির্যাতিত হয়েছেন

একাত্তরের বীরাঙ্গনারা পাননি তাঁদের প্রাপ্য সম্মান।অলংকরণ: মাসুক হেলাল

বীরাঙ্গনা নারীরা শুধু মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসই নির্যাতিত হননি, বরং যুদ্ধের পরও তাঁরা অপমানিত ও নির্যাতিত হয়েছেন।
গতকাল সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মোজাফ্ফর আহমদ চৌধুরী মিলনায়তনে বীরাঙ্গনার আত্মকথন গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় নির্যাতিত ২০ জন নারীর কাহিনি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম ও গবেষক শিল্পী বেগম যৌথভাবে বইটি লিখেছেন। প্রকাশ করেছে একাত্তর প্রকাশন।

প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, বীরাঙ্গনা নারীরা যুদ্ধের পরও অপমানিত ও নির্যাতিত হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু তাঁদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর সেটা আর বাস্তবায়িত হয়নি। তিনি তখনকার সময়ে জিয়াউর রহমান আর এখন খালেদা জিয়া ষড়যন্ত্র করছেন বলে মন্তব্য করেন।
সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, স্বাধীনতার ৪৪ বছর পর মুক্তিযোদ্ধা বীরাঙ্গনাদের স্মৃতিকথা লিপিবদ্ধ করে গ্রন্থকারদ্বয় এক ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছেন।

অনুষ্ঠানে লেখক ও গ্রন্থ পরিচিতি তুলে ধরেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাওন্তী হায়দার। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন চেয়ারম্যান অধ্যাপক মফিজুর রহমান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রকীব উদ্দীন আহমেদ। বইয়ের ওপর আলোচনা করেন ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক।