সাগর-রুনি হত্যা: প্রতিবেদন জমার জন্য ৭৫ বার সময় পেছাল
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২২ নভেম্বর তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। এ নিয়ে এই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৭৫ বার সময় পেছাল।
আজ বুধবার এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার তদন্ত সংস্থা র্যাব প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী নতুন তারিখ ধার্য করেন।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাড়িতে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়। সাগর মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক ছিলেন। রুনি এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের সময় বাসায় ছিল তাঁদের সাড়ে চার বছরের ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘ।
হত্যাকাণ্ডে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে এসে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বলেছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করা হবে। সেই ৪৮ ঘণ্টা এখন আট বছর পেরিয়ে গেছে।
সাগর-রুনি হত্যার ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম বাদী হয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
প্রথমে এই মামলা তদন্ত করছিল শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ। চার দিন পর চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।
তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার ৬২ দিনের মাথায় ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টে ব্যর্থতা স্বীকার করে ডিবি। এরপর আদালত র্যাবকে মামলার তদন্তের নির্দেশ দেন। সেই থেকে র্যাব মামলাটি তদন্ত করছে।
আট বছরে ৭৪ বার সময় নিয়েও আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি র্যাব। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য র্যাবকে আরও একবার (৭৫তম বার) সময় দিলেন আদালত।
তদন্তের এই ব্যর্থতা নিয়ে নিহত সাগর-রুনির পরিবার ও স্বজনেরা ক্ষুব্ধ, ব্যথিত।