চট্টগ্রামে চিকিৎসককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করায় ‘কিশোর গ্যাংয়ের’ ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের মারধর থেকে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন দন্তচিকিৎসক কোরবান আলীছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে ‘কিশোর গ্যাং’-এর সদস্যদের হাত থেকে ছেলেকে বাঁচানোর সময় বাবার ওপর হামলার অভিযোগে করা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার নগরের আকবরশাহ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রব্বানী আজ সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, হামলার ঘটনায় জড়িত অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে আদালতে রিমান্ডের অবেদন করা হয়। আদালত প্রত্যেকের এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত শুক্রবার আকবর শাহ থানার পশ্চিম ফিরোজ শাহ কলোনি এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের হাত থেকে এক পথচারীকে বাঁচাতে জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করেন আলী রেজা নামের এক যুবক। পরে তাঁকে মারধর করতে আসে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। এ সময় ছেলে আলী রেজাকে বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার হন তাঁর বাবা কোরবান আলী (৬০)। তিনি নগরের একটি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে আছেন।

এ ঘটনায় গত শনিবার ১২ জনের নাম উল্লেখ করে আকবর শাহ থানায় মামলা করেন আলী রেজা। তারা হলো মো. সামির, মো. রিয়াদ, সোহেল ওরফে বগা সোহেল, মো. আকিব, মো. অপূর্ব, মো. নিশান, মো. রাজু, মো. সাগর, মো. বাবু, মো. রাজু, মো. সংগ্রাম ও মো. সাফায়েত। তাদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া আরও পাঁচ-ছয়জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

আলী রেজার দাবি, ওই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা সবাই যুবলীগ নেতা গোলাম রসুল নিশানের অনুসারী। তাদের সঙ্গে তাঁর কোনো পূর্বশত্রুতা নেই। আলী রেজা নগরের একটি মাদ্রাসায় ফাজিলে পড়েন।

পুলিশ জানিয়েছে, চট্টগ্রাম নগরে অন্তত ২০০ কিশোর গ্যাং সক্রিয় রয়েছে। একেক দলে রয়েছে ৫ থেকে ১৫ জন। পুলিশের হিসাবে, নগরজুড়ে এসব গ্যাংয়ের সদস্যসংখ্যা অন্তত ১ হাজার ৪০০। গত ৬ বছরে ৫৪৮টি অপরাধের ঘটনায় কিশোর গ্যাং জড়িত রয়েছে। এর মধ্যে খুনের ঘটনা ৩৪টি।