আদালত থেকে পালিয়ে যাওয়া সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে

প্রতীকী ছবি

সোনালী ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের ঘটনায় করা এক মামলায় পাঁচ বছর কারাদণ্ড পাওয়া সাভারের হেমায়েতপুরের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন সরকারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১-এর বিচারক আবুল কাসেম আজ রোববার এই আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মীর আহমেদ আলী সালাম।

পিপি মীর আহমেদ আলী সালাম প্রথম আলোকে বলেন, ১৯ মার্চ এই মামলায় রায় হয়। রায়ে ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। আর আটজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই মামলায় জামিনে ছিলেন জামাল। রায় ঘোষণার পর আদালতকক্ষ থেকে পালিয়ে যান তিনি। আজ তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত তাঁর জামিনের অবদান নাকচ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলায় হল-মার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদ, তাঁর স্ত্রী জেসমিন ইসলামসহ ৯জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ৯জনের মধ্যে তানভীরের ভায়রা তুষার আহমেদও রয়েছেন। এ ছাড়া সোনালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হুমায়ুন কবিরসহ আটজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আরও পড়ুন

মামলার কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী, স্বল্প পরিচিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী হল-মার্ক গ্রুপ ২০১১ সালে সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা (বর্তমানে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল) শাখা থেকে ঋণের নামে ২ হাজার ৬৮৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। ঋণ জালিয়াতির এই ঘটনা তখন সারা দেশে আলোচনার জন্ম দেয়। এরপর বাতিল করা হয় সোনালী ব্যাংকের তৎকালীন পরিচালনা পর্ষদ। গ্রেপ্তার করা হয় সোনালী ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তাকেও।

হল-মার্ক গ্রুপের ঋণ জালিয়াতির ওই ঘটনায় তখন রাজধানীর রমনা থানায় ১১টি মামলা হয়। এর মধ্যে প্রথম কোনো মামলায় বিচারিক আদালত থেকে রায় আসে ১৯ মার্চ।

মামলাটি ২০১২ সালের ৪ অক্টোবর রমনা থানায় করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অর্থের অপব্যবহার, প্রতারণা, জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাৎ ও অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়। এ মামলায় জালিয়াতির মাধ্যমে ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।

আরও পড়ুন