ডিবি হেফাজতে থাকা ব্যক্তির লাশ হাসপাতালে, এমএসএফের তীব্র ক্ষোভ ও গভীর উদ্বেগ

আলাল উদ্দিন

হত্যা মামলার সন্দেহভাজন হিসেবে আলাল দেওয়ান নামের এক ব্যক্তিকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ১০ দিন হেফাজতে রাখা এবং পরে তাঁকে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে মৃত অবস্থায় পাওয়ার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। আজ সোমবার এক বিবৃতিতে এ মানবাধিকার সংগঠনটি তাদের ক্ষোভের কথা জানায়। এ ঘটনার নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছে তারা।

সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্য দিয়ে এমএসএফের বিবৃতিতে বলা হয়, বাউনিয়ার একটি বাসায় ৫ জুন ফাতেমা আক্তার (৩৩) নামের এক নারী খুন হন। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় একমাত্র আসামি নারীটির স্বামী সাইফুল ইসলাম রানা। স্বজনদের অভিযোগ, ৬ জুন সন্ধ্যায় ডিবি পুলিশের সদস্যরা একটি হাইয়েস গাড়িতে করে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে বাড়ির কেয়ারটেকার আলাল দেওয়ানকে (৫০) তুলে নিয়ে যান। পরবর্তী সময়ে তাঁর বিষয়ে অন্য কিছু না জানালেও ১৫ জুন জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে তাঁদের জানানো হয়, আলাল অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। পরে হাসপাতালে খোঁজ নিতে এলে তাঁদের বলা হয়, রোববার আদালতে গেলেই আলালকে পাবেন। পরদিন ১৬ জুন শেরেবাংলা নগর থানার এসআই আনোয়ার আলালের পরিবারকে ফোনের মাধ্যমে জানান, আলাল হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে মারা গেছেন। তাঁরা হাসপাতালে লাশ দেখতে গিয়ে দেখেন আলালের হাত-পা ভাঙা।

আরও পড়ুন

এমএসএফের বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ কর্তৃপক্ষ প্রায় ১০ দিন আটক রাখার পর ঘটনার যে বর্ণনা দিয়েছে, তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। হেফাজতে থাকা আটক ব্যক্তির মৃত্যু একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অমানবিক ঘটনা এবং তা অবশ্যই অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রত্যাশিত। এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

হেফাজতে যেকোনো ব্যক্তির সুরক্ষা নিশ্চিত করা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আইনি দায়িত্ব।

আরও পড়ুন

ডিবি পুলিশের হেফাজতে মৃত্যু যেভাবেই হোক না কেন, লাশের সুষ্ঠু ময়নাতদন্ত করে তা প্রকাশ করার জোর দাবি জানায় এমএসএফ। তারা দ্রুততার সঙ্গে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোর দাবি জানায়।