ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ফয়সালের স্ত্রীসহ তিন আসামির জবানবন্দি

আদালতপ্রতীকী ছবি

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যা মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রী সাহেদা পারভীন, শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ ও বান্ধবী মারিয়া আক্তার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে বুধবার জবানবন্দি দেন তাঁরা।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় দফার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বুধবার গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল জোনাল টিমের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সালের স্ত্রী সাহেদা পারভীন, বান্ধবী মারিয়া আক্তার ও শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদের জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন।

পরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলাম ফয়সালের স্ত্রী সাহেদা পারভীন ও ওয়াহিদ আহমেদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। আর মারিয়া আক্তারের জবানবন্দি রেকর্ড করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কামালউদ্দিন। এরপর তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।

জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদনে বলা হয়, আসামিরা মামলার ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত আছেন মর্মে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন। তাঁরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁদের বক্তব্য বিজ্ঞ আদালতে প্রদান করতে ইচ্ছুক। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের জবানবন্দি ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারা মোতাবেক লিপিবদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন।

১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগরে নির্বাচনী প্রচারণার সময় শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শুক্রবার তিনি মারা যান।

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ১৪ ডিসেম্বর রাতে মামলাটি করেছিলেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের। এজাহারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খানসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। হত্যাচেষ্টার পরিকল্পনা, অর্থের জোগানদাতা ও পৃষ্ঠপোষকদের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করার ঘটনায় ফয়সালের স্ত্রী, শ্যালক ও বান্ধবীকে ১৪ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তবে ফয়সাল করিমের কোনো খোঁজ এখনো বের করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

আরও পড়ুন