বিদেশফেরত যাত্রীদের মালামাল লুট চক্রের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার: র্যাব
বিদেশফেরত যাত্রীদের সর্বস্ব লুটে নেওয়া একটি চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল শনিবার রাজধানীর বিমানবন্দর ও কদমতলী থানা এলাকা থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—আমির হোসেন, মো. লিটন মিয়া, আবু বক্কর সিদ্দিক ও জাকির হোসেন। চারজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানাতে আজ রোববার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল-মঈন বলেন, গত ২ সেপ্টেম্বর কুয়েতপ্রবাসী এক ব্যক্তির সর্বস্ব লুটে নেওয়ার ঘটনা অনুসন্ধান করতে গিয়ে তাঁরা একটি চক্রের খোঁজ পান। পরে চক্রটির চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব বলছে, চক্রটি ১৫ বছর ধরে বিদেশফেরত যাত্রীদের মালামাল লুট করে আসছিল।
আত্মীয়স্বজন বিমানবন্দরে নিতে আসেননি—এমন যাত্রীদের সঙ্গে কৌশলে সখ্য গড়ে তুলতেন চক্রের হোতা আমির হোসেন। তিনি নিজেকে বিদেশফেরত যাত্রী হিসেবে পরিচয় দিতেন। বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনে তাঁর হাতে থাকত লাগেজ ও পাসপোর্ট। তাঁর সঙ্গে আত্মীয়স্বজন পরিচয়ে থাকতেন চক্রের অন্য সদস্যরা।
র্যাব জানায়, পরিচিত হওয়ার পর বিদেশফেরত যাত্রীর বাড়ি যে এলাকায়, আমির হোসেনও একই এলাকার বাসিন্দা বলে জানাতেন। একসঙ্গে বাড়ি ফেরার প্রস্তাব দিতেন তিনি। রাজি হলে বিদেশফেরত যাত্রীকে সঙ্গে নিয়ে গন্তব্যে রওনা দিতেন। পরে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে বিদেশফেরত যাত্রীদের সবকিছু লুটে নিতেন তাঁরা।
খন্দকার আল-মঈন বলেন, আমির হোসেন বিমানবন্দর এলাকার একটি খাবারের দোকানে চাকরি করেন। পেশার আড়ালে তিনি বিমানবন্দরে অজ্ঞান পার্টির চক্র গড়ে তোলেন।
চক্রের বেশ কয়েকজন সদস্য এখন কারাগারে। আমির হোসেনও একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। কারাগার থেকে বেরিয়ে তিনি আবার একই অপরাধে জড়িয়ে পড়েন। তাঁর বিরুদ্ধে ২০টির মতো মামলা রয়েছে।
র্যাব বলছে, গ্রেপ্তার লিটন ছয় বছর ধরে এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত। তিনি গাড়ি চালানোর আড়ালে এই অপরাধ করে আসছিলেন। চক্রের আরেক সদস্য সিদ্দিক মূলত সোনা ব্যবসায়ী। এই চক্রের লুট করা সোনা তিনি কেনাবেচা করতেন। আর জাকির লুট করা জিনিসপত্র বেচতেন।