সংসদ সদস্য আনোয়ারুলকে হত্যার কারণ এখনো জানা যায়নি: ডিএমপি কমিশনার

ডিএমপির সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন কমিশনার হাবিবুর রহমানছবি: ডিএমপি নিউজের সৌজন্যে

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীমকে কী কারণে হত্যা করা হয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারতের পুলিশ তা জানতে পারেনি। এর মূল কারণ হলো এই খুনের যিনি পরিকল্পনাকারী, তিনি দেশের বাইরে রয়েছেন। তাঁকে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি। তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারলেই হত্যার মূল উদ্দেশ্য জানা যাবে।

আজ বুধবার ডিএমপির সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন। কমিশনার বলেন, ‘কলকাতায় খুন হওয়া সংসদ সদস্যের মৃতদেহের সন্ধান ও শনাক্ত করার জন্য আমাদের একটি দল কলকাতায় গিয়েছে। যারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল, তারা ইতিমধ্যে চিহ্নিত হয়েছে, কেউ কেউ গ্রেপ্তারও হয়েছে।’

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘মৃতদেহ উদ্ধার আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল। এ জন্য আমাদের দল সেখানে গিয়েছে। যে ভবনে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ভারতের পুলিশ আমাদের জানিয়েছে, সেই ভবনের সেপটিক ট্যাংক ভেঙে খণ্ডিত কিছু মাংসপিণ্ড উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলো আসলেই সংসদ সদস্যের কি না, সেটি ডিএনএ টেস্ট করলে বোঝা যাবে।’

হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহিনকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তাঁকে ফেরাতে পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। যেহেতু যিনি খুন হয়েছেন, তিনি জাতীয় সংসদের একজন সম্মানিত সদস্য ছিলেন। এ কারণে বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। যদিও এখনো আমাদের সঙ্গে সেই ধরনের চুক্তি তাদের (যুক্তরাষ্ট্র) নেই, তারপরও অন্য যেকোনো মাধ্যমে বা কূটনৈতিক যেকোনো চ্যানেলে এ বিষয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।’

আরও পড়ুন

আক্তারুজ্জামানকে ফেরাতে ভারতের কোনো সহযোগিতা নেবেন কি না, জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এই খুনের ঘটনায় বাংলাদেশের আইনে বিচার হতে পারে, ভারতে ঘটনা ঘটেছে তাই সেখানেও বিচার হতে পারে। পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডে ঢাকা ও কলকাতায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ জানিয়েছিল, আনোয়ারুল আজীম ১২ মে কলকাতায় যাওয়ার পরদিন ফাঁদে ফেলে তাঁকে ওই ফ্ল্যাটে নিয়ে হত্যা করা হয়। আলামত মুছে ফেলার জন্য তাঁর দেহ টুকরা টুকরা করে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন

পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সঙ্গে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ যৌথভাবে এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করছে। তদন্তের জন্য বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে আছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।