প্রথম আলো–ডেইলি স্টারে হামলা টঙ্গী ও ভোলা থেকে আরও দুজন গ্রেপ্তার
প্রথম আলো কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে জড়িত আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তার দুজন হলেন স্বপন মণ্ডল ও নিয়াজ মাহমুদ ফারহান। গতকাল মঙ্গলবার রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে গত তিন দিনে ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, গতকাল মধ্যরাতে গাজীপুরের টঙ্গী থানা এলাকা থেকে স্বপন মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই দিন মধ্যরাতে ভোলার বোরহানউদ্দিন এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিয়াজ মাহমুদ ফারহানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ১৮ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে ন্যক্কারজনক হামলা চালায় কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল জনতা। ওই ঘটনার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা চালায় ডিএমপি। এখন পর্যন্ত মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা ৩১।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্র বলছে, ভিডিও ফুটেজ ও ছবি বিশ্লেষণ করে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িত হিসেবে শতাধিক ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৩১ জনকে আটক করে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় করা দুই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া এসব হামলার উসকানিদাতা হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে আরও অন্তত ২০ জনকে। এর বাইরে ডেইলি স্টার কার্যালয়ের সামনে ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ–এর সম্পাদক নূরুল কবীরকে হেনস্তার সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানি নিয়ে পরিকল্পিতভাবে গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলা হয়। দীর্ঘ সময় ধরে এই হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায় সন্ত্রাসীরা। আগুন নেভাতে আসা ফায়ার সার্ভিসের গাড়িকেও বাধা দেয় তারা। ওই রাতে ছায়ানট ভবনেও হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরদিন শুক্রবার সন্ধ্যায় উদীচী কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
হামলার ঘটনায় গত রোববার রাতে প্রথম আলো ও সোমবার সন্ধ্যায় ডেইলি স্টার তেজগাঁও থানায় মামলা করেছে।