সাভারে মাথার চুল বিক্রির খবর 'মিথ্যা', ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় আসামি সাংবাদিকসহ ৩

ঢাকার সাভারে সন্তানদের জন্য খাবার কিনতে এক নারীর মাথার চুল বিক্রির ঘটনাটি সত্য নয়, এমনটাই দাবি উপজেলা প্রশাসন ও ছাত্রলীগের এক কর্মীর। উপজেলা প্রশাসন সাংবাদিকদের ডেকে দাবি করেছে, খবরটি মিথ্যা। আর ছাত্রলীগের কর্মী থানায় সাংবাদিকসহ তিনজনের নামে মামলা করেছেন।

গত বৃহস্পতিবার রাতে সাভার থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার বাদী রমিজউদ্দিন ভূঁইয়া। তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মী। মামলায় সাভার বাজার রোড ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি ওবায়দুর রহমান, স্থানীয় একটি সাপ্তাহিকের সম্পাদক ওমর ফারুক ও সাবেক ছাত্রদল নেতা রাজীব মাহমুদকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ওই নারী সাভার আসেন দুই মাস আগে। এর আগে তিনি থাকতেন রাজধানীর মিরপুরের একটি বস্তিতে। মাথায় খুশকি ও চুলকানির কারণে দেড় মাস আগে নিজের মাথার চুল কেটে ফেলেন। এখন সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য উল্টাপাল্টা কথা বলছেন। আর আসামি রাজীব মাহমুদ ও ওমর ফারুক ঘটনাটিকে অতিরঞ্জিত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালান। তাঁদের এই অপপ্রচারে সহায়তা করেছেন ব্যবসায়ী ওবায়দুর রহমান।

মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ। তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজুর রহমান বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর সরকারি বাসভবনে স্থানীয় সাংবাদিকদের ডাকেন। এ সময় আলাপকালে তিনি সন্তানদের জন্য খাবার কিনতে নারীর মাথার চুল বিক্রির খবরটিকে মিথ্যা দাবি করেন।

পারভেজুর রহমান বলেন, ওই নারীর সঙ্গে তাঁরা কথা বলেছেন। তাঁরা জেনেছেন, ওই নারী দেড় মাস আগে সাভারে আসেন এবং দেড়  মাস আগে চুল বিক্রি করেন। ঘটনা শুনে মঙ্গলবার তাৎক্ষণিক উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল্লাহ আল মাহফুজ তাঁর বাড়িতে যান। ওই নারীকে সরকারের পক্ষ থেকে ত্রাণ দিয়ে আসেন। তখন সহকারী কমিশনার যা বলেছিলেন, গণমাধ্যমে তা পুরো আসেনি। একটি মহল সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন এবং স্থানীয় প্রশাসনকে হেয় করার জন্য এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে দাবি করেন ইউএনও।

আরও পড়ুন:
সাভারে ক্ষুধার্ত সন্তানদের জন্য মাথার চুল বিক্রি