আখাউড়ায় পাহাড়ি ঢলে ভাঙল বাঁধ, ১১ গ্রামের নিচু এলাকা প্লাবিত

আখাউড়া উপজেলায় হাওড়া নদীর বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকছে লোকালয়ে। শনিবার দুপুরে মনিয়ন্দ ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী কর্নেল বাজার–সংলগ্ন আইড়ল এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় হাওড়া নদীর বাঁধ ভেঙে গেছে। এতে উপজেলার তিন ইউনিয়নের ১১ গ্রামের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। প্রশাসনের উদ্যোগে ওই এলাকার ২৮টি পরিবারকে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।

আজ শনিবার ভোরে পাহাড়ি পানির তোড়ে আখাউড়ার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী কর্নেল বাজার–সংলগ্ন আইড়ল এলাকায় হাওড়া নদীর বাঁধ ভেঙে যায়। বাঁধ–সংলগ্ন সড়কও ভেসে গেছে। মনিয়ন্দ ইউনিয়নের আইড়ল, ইটনা, খারকুট, বড় লৌহঘর, ছোট লৌহঘর ও বড় গাঙ্গাইল এবং পার্শ্ববর্তী মোগড়া ইউনিয়নের নিলাখাদ গ্রামের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। অনেক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়ায় সীমান্তবর্তী এসব গ্রামের বাসিন্দারা বিপাকে পড়েছেন।

এর আগে গতকাল শুক্রবার দিনভর টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ও সীমান্তবর্তী আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিকাপুর, বীরচন্দ্রপুর, আবদুল্লাহপুর ও বঙ্গেরচর গ্রামের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়। আজ সকাল থেকে এই ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে পাহাড়ি ঢলের পানি ঢুকছে। ফসলি জমি, পুকুর ও বাড়িঘর তলিয়ে যাচ্ছে। ৩ ইউনিয়নের অন্তত ১১ গ্রামের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। দক্ষিণ ইউনিয়নের ২৮টি পরিবারকে উপজেলার আবদুল্লাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে বাঁধ ভাঙার খবর পেয়ে আজ দুপুরে জেলা প্রশাসক মো. শাহ্গীর আলম, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অংগ্যজাই মারমা ও ইউপি চেয়ারম্যান দীপক চৌধুরী ভাঙন এলাকাসহ পানিতে তলিয়ে যাওয়া গ্রামের নিচু এলাকাগুলো পরিদর্শন করেন।

জেলা প্রশাসক মো. শাহ্গীর আলম বলেন, ‘২৮টি পরিবারকে উপজেলার আবদুল্লাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক পরিবারকে দেড় হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। বাঁধ ও রাস্তা মেরামতের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড ও এলজিইডি কার্যালয়কে বলেছি। সিসি ব্লক দিয়ে বাঁধ নির্মাণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

আখাউড়ার মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান দীপক চৌধুরী বলেন, আজ ভোরে ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে হাওড়া নদীর বাঁধ ভেঙে যায়। পানির প্রবল তোড়ে বাঁধ–সংলগ্ন সড়কও ভেসে গেছে। মোগড়া ও মনিয়ন্দ ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্টের ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোরশেদ আলম বলেন, পাহাড়ি ঢলের পানি আখাউড়া ইমিগ্রেশন কিংবা সামনের রাস্তায় আসেনি। সাধারণ বৃষ্টিপাতেই ইমিগ্রেশনের সামনের এলাকায় পানি জমে।