ভটভটি ছেড়ে ঘরে আশ্রয় মিলল রেখা বিবির

বাগমারার বাঘাবাড়ি এলাকায় রেখা বিবির হাতে ত্রাণসামগ্রী তুলে দেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। শুক্রবার রাতে
প্রথম আলো

রাজশাহীর বাগমারায় বন্যার কারণে ভটভটিতে বসবাস করা রেখা বিবির পাশে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। শুক্রবার রাতে তাঁকেসহ পরিবারের সদস্যদের একটি বাড়িতে আশ্রয় দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাঁদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রেখা বিবির বাড়ি বাগমারা উপজেলার বড় বিহানালী ইউনিয়নের ইটাবাড়ি গ্রামে। উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও অতিবৃষ্টিতে উপজেলায় তৃতীয় দফার বন্যা দেখা দিয়েছে। শত শত পরিবার দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে। এ বিষয়ে শুক্রবার বিকেলে প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে ‘ভটভটিতে বসবাস রেখা বিবিদের’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
রেখা বিবি তাঁর বিধবা বোনসহ পরিবারের তিন সদস্য নিয়ে বাঘাবাড়ি এলাকায় আশ্রয় নেন। সেখানে তাঁর স্বামীর ভটভটিকে অস্থায়ী বাসস্থান হিসেবে ব্যবহার করে পাঁচ দিন ধরে সেখানেই থাকছেন। খাবারও ঠিকমতো জুটছিল না। সরকারি বা বেসরকারিভাবে কোনো ত্রাণসামগ্রীও পাননি তাঁরা।

আরও পড়ুন

সন্ধ্যার পর বড় বিহানালী ইউনিয়নের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা সোলাইমান আলীর নেতৃত্বে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা রেখা বিবিসহ বন্যা দুর্গত ব্যক্তিদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেন।
বড় বিহানালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি লিটন হোসেন বলেন, ‘ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলমগীর হোসেন দুর্গত ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি ঢাকায় আছেন। বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে দিয়েছেন। রাতে বাঘাবাড়ি গিয়ে সড়কে ভটভটির ওপর আশ্রয় নেওয়া রেখা বিবির পরিবারের সন্ধান পাই। সেখানে তাঁদের চাল, ডাল, তেল ছাড়া শুকনা খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়। পাশাপাশি পরিবারটিকে আলমগীর হোসেনের স্থাপনার একটি কক্ষে থাকতে দেওয়া হয়েছে।’
রাতে মুঠোফোনে রেখা বিবি বলেন, ‘পাঁচ দিন ধরে ভটভটিতে থাকলেও কেউ খোঁজখবর নেননি। আওয়ামী লীগের লোকজন খাদ্যসামগ্রী ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। একটু আরামে থাকতে পারব।’