ভিডিও কলে কথা বলতে বলতে বিস্ফোরণ, সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সোবহানের

নিখোঁজ সোবহান
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে দুর্ঘটনার পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে মা, বোন ও স্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলছিলেন আবদুস সোবহান ওরফে আবদুর রহমান (২৮)। কথা বলার একপর্যায়ে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সোবহানের। এর পর থেকে আর সোবহানের খোঁজ মেলেনি।

সোবহান চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার শেখেরখীল ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত শাহ আলমের ছেলে। ঘটনার পর ঘটনাস্থল সীতাকুণ্ডে সোবহানের ভাই নুর মোহাম্মদ চৌধুরী এবং বিভিন্ন হাসপাতালে আলী নেওয়াজ চৌধুরী ছোটাছুটি করলেও এখনো সোবহানের খোঁজ পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

রোববার দুপুরে শেখেরখীল ইউনিয়নে সোবহানের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, ছেলের শোকে বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন মা লুৎফুন্নেছা। একই অবস্থা সোবহানের স্ত্রীরও। তাঁদের সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন প্রতিবেশী ও স্বজনেরা।

নিখোঁজ সোবহানের মা লুৎফুন্নেছা বলেন, ‘ঘটনার পর আমরা সোবহানের সঙ্গে কথা বলছিলাম। এক সময় জোরে শব্দ হয় আর মোবাইলের লাইন কেটে যায়। এরপর আর সংযোগ পাইনি। সে ডিউটি শেষ করে বাসায় গিয়ে কথা বলার সময় এ ঘটনা ঘটে।’

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুনঃ

আশপাশের গ্রামগুলোয় ছাই আর পোড়া গন্ধে বিপাকে শিশু, বৃদ্ধরা

একনজরে সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ

নিহত প্রত্যেক শ্রমিকের পরিবার পাবে ২ লাখ টাকা

আগুন, উত্তাপ ও ধোঁয়া ছড়িয়েছে আড়াই বর্গকিলোমিটারজুড়ে

সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯, আগুন এখনও জ্বলছে

আরও পড়ুন

সোবহানের ভাগনে মো. হেফাজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, মামা ৭ বছর ধরে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে সেখানে কাজ করেন। দেড় বছর আগে তিনি বিয়ে করেন। তাঁর ঘরে এক বছরের একটি কন্যা আছে। সোবহানের শ্বশুর মো. শফি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিচ্ছি। কিন্তু আজ বিকেল পর্যন্ত কোথাও তাঁর খোঁজ পাইনি।’

গতকাল শনিবার রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়িতে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রোববার দুপুর পর্যন্ত বাঁশখালী উপজেলার তিনজনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রাত নয়টার দিকে একটি কনটেইনারে আগুন লাগে। এরপর ঘণ্টা দেড়েকের মধ্যে অন্যান্য কেমিক্যালভর্তি কনটেইনারে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন