শাওনের সন্তান ও পরিবারের দায়িত্ব নেবে বিএনপি: রিজভী

মুন্সিগঞ্জে নিহত যুবদলকর্মী শহিদুল ইসলাম ওরফে শাওনের বাড়িতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শুক্রবার রাতে
ছবি: প্রথম আলো

পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে মুন্সিগঞ্জে নিহত যুবদল কর্মী শহিদুল ইসলাম ওরফে শাওন ভূঁইয়ার শিশুসন্তান ও পরিবারের দায়িত্ব বিএনপি নেবে বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে শাওনের বাড়িতে এসে তিনি এ কথা বলেন।

আরও পড়ুন

এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে ফ্রিজিং ভ্যানে করে শাওনের লাশ রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। এর আগে থেকেই হাজারো নেতা–কর্মী সেখানে অবস্থান করছিলেন। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে শাওনের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজা শেষে বিএনপি ও এর বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন ফুল দিয়ে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। রাত পৌনে ৯টার দিকে মুন্সিগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে আনা হয়।

আরও পড়ুন

জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি ও দলীয় নেতা-কর্মী হত্যার প্রতিবাদে মুন্সিগঞ্জ শহরের অদূরে মুক্তারপুরে গত বুধবার বেলা তিনটার দিকে বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে জেলা বিএনপি। সেখানে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের মধ্যে গুলিতে শাওন ও বিএনপির সমর্থক জাহাঙ্গীর মাদবর (৩৮) গুরুতর আহত হন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও দলীয় নেতা-কর্মীরা জানান, পূর্বনির্ধারিত সমাবেশে যোগ দিতে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা বিএনপির নেতা-কর্মীরা মুক্তারপুর মোড়ে জড়ো হতে থাকেন। পুলিশ তাঁদের সেখানে জড়ো হতে নিষেধ করলে তাঁরা মুক্তারপুর থেকে ট্রাকে পুরোনো ফেরিঘাট এলাকায় যান। সেখানে বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে নেতা-কর্মীরা আসতে শুরু করেন। তখন সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিনহাজুল ইসলাম একটি মিছিলের ব্যানার ধরে টান দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। ওই ঘটনায় পুলিশ, সাংবাদিকসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৭০ জন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে বিএনপির নেতা-কর্মী ৫০ থেকে ৬০ জন, ৩ জন সংবাদকর্মী এবং ১৫ থেকে ২০ জন পুলিশ সদস্য রয়েছেন।