প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির অভিযোগে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদসহ দলটির পাঁচ নেতার বিরুদ্ধে মানহানি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে রাজবাড়ীর আদালতে। আজ বুধবার দুপুরে রাজবাড়ী ২ নম্বর আমলি আদালতে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ সোহেল রানা (টিপু) মামলার আবেদন করেন।
আদালতের বিচারক ইকবাল হোসেন আবেদনটি আমলে নিয়ে কালুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার বাদী শেখ সোহেল রানার বাড়ি রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রামে।
মামলায় দণ্ডবিধির ৫০০, ৫০১ এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৭ ও ২৯ ধারায় অভিযোগ করা হয়েছে। মামলায় পাঁচজনের নাম উল্লেখের পাশাপাশি ৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
বিএনপি নেতা আবু সাইদসহ মামলার অন্য আসামিরা হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান (মিনু), রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোসাদ্দেক হোসেন (বুলবুল) ও সাবেক সংসদ সদস্য নাদিম মোস্তফা।
মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ১৯ মে রাজশাহী জেলা ও মহানগর বিএনপির উদ্যোগে পুঠিয়ার শিবচর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। আসামিরা বেলা ৩টা ৫০ মিনিট থেকে বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন। এক নম্বর আসামি বক্তব্যের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে উসকানিমূলক ও মানহানিকর বক্তব্য দেন। ওই দিনই বিভিন্ন প্রচারমাধ্যমে অনলাইনে দেখতে পেয়ে বাদী মর্মাহত ও আতঙ্কিত হন। এতে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ জনমনে আতঙ্ক ও ভয় তৈরি হয়। আসামির বক্তব্যে সারা দেশে অরাজকতা সৃষ্টিসহ জননিরাপত্তা বিপন্ন হতে পারে, যা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল। বাদী রাস্তায় বের হলে মানুষ ওই বক্তব্য নিয়ে হাস্যকর বক্তব্য দিচ্ছে এবং বাদীর মানহানি করছে। এতে বাদীর ২০ কোটি টাকার মানহানি হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।