সিজিপিএ পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে শের-ই-বাংলা মেডিকেলের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

মেডিকেল কলেজের পরীক্ষাব্যবস্থায় নতুন করে প্রণীত ‘সিজিপিএ’ পদ্ধতি বাতিল করে পুরোনো ‘ক্যারি অন’ পদ্ধতি বহালের দাবিতে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের দুটি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। আজ শনিবার সকাল থেকে অধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে এ বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা, যা বেলা দেড়টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চলছিল।

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া এমবিবিএস ৫৩ ও বিডিএস ১১ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিএমডিসির এই নতুন পদ্ধতি প্রচলনের কারণে চিকিৎসকদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হবে। তাঁরা জানান, মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা আগের পদ্ধতিতে যেকোনো বর্ষে কোনো বিষয়ে অকৃতকার্য হলে পরবর্তী বর্ষে একই ব্যাচে পড়ার সুযোগ পেতেন। পরের বছর ওই বিষয়ে পরীক্ষা দিতে পারতেন। তবে নতুন গ্রেডিং পদ্ধতিতে সে সুযোগ রাখা হয়নি। সেই সঙ্গে এ, বি ও সি গ্রেড করে চিকিৎসকদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।

আবু মাসুম নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে বিএমডিসি ‘ক্যারি অন’ পদ্ধতি বাতিল করে ‘সিজিপিএ’ পদ্ধতি চালু করেছে। এতে মেডিকেলের শিক্ষার্থীদের ফলাফল বিভিন্ন গ্রেডে ভাগ করা হবে। এ ছাড়া কোনো বর্ষে একটি বিষয়ে অকৃতকার্য হলে অন্য বর্ষে উন্নীত হওয়ার সুযোগ থাকবে না। এ জন্য শিক্ষার্থীদের বৈষম্য ও হয়রানি দূর করতে সিজিপিএ বাতিল করে কর ক্যারি অন পদ্ধতি পুনরায় চালুর দাবি জানান তিনি।

শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ জি এম নাজিমুল হক বলেন, শিক্ষার্থীরা ক্যারি অন পদ্ধতি পুনর্বহালের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। তবে ক্যারি অন নয়, সিজিপিএ পদ্ধতিই শিক্ষার্থীদের জন্য ভালো বলে মতামত দেন তিনি।