রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ দোকান বসেছে কম, দোকানিরা কথা বলতে চাচ্ছেন না

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে আজ ভ্রাম্যমাণ দোকান কম বসেছে। দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে
ছবি: প্রথম আলো

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে অন্যান্য দিনের মতো আজ ক্যাম্পাসে তেমন ভ্রাম্যমাণ দোকান বসেতে দেখা যায়নি।

আরও পড়ুন

এর আগে গত মঙ্গলবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় বসা ভ্রাম্যমাণ দোকান থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগের চার নেতার বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় আজ সকালে দোকানিদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তাঁরা কথা বলতে চাননি। তবে কয়েকজন দোকানি জানিয়েছেন, ওই দিনের পর থেকে নতুন করে কেউ আর চাঁদা চাইতে আসেননি।

মঙ্গলবারের চাঁদাবাজির ঘটনায় আজ সকালে দোকানিদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তাঁরা কথা বলতে চাননি।

অভিযুক্তরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদেকুল ইসলাম ওরফে সাদিক, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবিদ আল হাসান ওরফে লাবন, নবাব আব্দুল লতিফ হলের ছাত্রলীগের সহসভাপতি তাশফিক আল তৌহিদ এবং মাদার বখ্শ হলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তামিম খান। তাঁদের মধ্যে লাবন ও তৌহিদ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী। আর সাদিক ও তামিম শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবের অনুসারী।

ভুক্তভোগী দোকানিরা জানিয়েছিলেন, ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের সহায়তার কথা বলে ছাত্রলীগের ওই নেতারা চাঁদা আদায় করেছেন। তাঁরা দোকানভেদে ১০০ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করেছেন।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাঁরা বলছেন, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব বলেন, ‘আমাদের কাছে বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে কোনো দোকানি অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘কয়েকটি পত্রিকায় এ–সংক্রান্ত নিউজ দেখেছি। তবে এখন পর্যন্ত কোনো দোকানি অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’