সাজেকে কক্ষ না পেয়ে রাস্তায় শত শত পর্যটক

সাজেক রুইলুই গাড়ি পাড়া
ফাইল ছবি

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নে পাহাড়ধসের ঘটনায় সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকায় প্রায় পাঁচ ঘণ্টা দেরিতে রুইলুই পর্যটনকেন্দ্রে পৌঁছেছেন পাঁচ হাজারের বেশি পর্যটক। রিসোর্ট-কটেজে ধারণক্ষমতার বেশি পর্যটক যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তাঁরা। এমতাবস্থায় কক্ষ খালি না পেয়ে রাস্তা, বারান্দা ও গাড়িতে রাতযাপন করছেন শত শত পর্যটক।

এ ছাড়া দেরিতে পৌঁছানোর কারণে যাঁদের দিনের দিন ফেরত আসার কথা, তাঁদেরও বাধ্য হয়ে সাজেকে থাকতে হয়েছে। এতে সংকট আরও বেড়েছে।

আরও পড়ুন

রুইলুই পর্যটনকেন্দ্র ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাজেকের রুইলুই পর্যটনকেন্দ্রে মোট ১১২টি রিসোর্ট ও কটেজ আছে। সেখানে গাদাগাদি করে থাকলেও চার থেকে সাড়ে চার হাজার অতিথি থাকতে পারেন। সেই হিসাবে আজ বুধবার সাজেকে পাঁচ হাজারের বেশি পর্যটকের আগমন ঘটেছে। এতে রিসোর্ট-কটেজগুলোতে কক্ষের সংকট দেখা দেয়। এ কারণে বাধ্য হয়ে কক্ষ না পাওয়া পর্যটকদের রাস্তায় কিংবা গাড়িতে রাত কাটাতে হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাঘাইহাট থেকে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টায় পুলিশের পাহারায় পর্যটকের গাড়িগুলো সাজেকে নেওয়া হয়। সাজেকের রুইলুই পর্যটনকেন্দ্রে গাড়িগুলো পৌঁছায় দুপুর ১২টা থেকে সাড়ে ১২টার দিকে। এই পর্যটকদের অনেকে দিনের দিন ফিরে আসেন। কিন্তু বাঘাইহাট-সাজেক সড়কের শুকনা নন্দারাম এলাকায় আজ পাহাড়ধসের কারণে দীর্ঘক্ষণ সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। বেলা দুইটার দিকে সড়কে যান চলাচল শুরু হলে দেরিতে সাজেকে পৌঁছান পর্যটকেরা। এ কারণে বাধ্য হয়ে অনেককে সাজেকে থেকে যেতে হয়েছে।

আরও পড়ুন

সাজেক হিল ভিউ রিসোর্টের মালিক ইন্দ্র চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, এখানকার কোনো রিসোর্ট-কটেজে কক্ষ খালি নেই। আজ অতিরিক্ত পর্যটকের আগমন ঘটেছে। পর্যটকদের অনেকে কক্ষ না পেয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে সময় কাটাচ্ছেন। আজ শত শত পর্যটককে বাইরে রাত কাটাতে হবে।