সুনামগঞ্জে ইফতারে পছন্দের দুই পদ জিলাপি ও বাকরখানি

সুনামগঞ্জে ইফতারিতে বাকরখানি আর জিলাপির কদর একটু বেশিছবি: প্রথম আলো

ইফতারে ঘরের আয়োজনে বাজার থেকে কেনা কিছু পদ যুক্ত করেন অনেকেই। এর মধ্যে প্রিয় কিছু পদ থাকে। কেউ কেউ বাড়িতে তৈরি করেন সেগুলো, আবার অনেকেই বাজার থেকে কিনে নেন। সুনামগঞ্জের ইফতারির বাজারে ঘুরে জানা গেল, বাহারি পদের ইফতারির মধ্যে বাকরখানি আর জিলাপির কদরটা একটু বেশি। এই দুই পদ ইফতারে বিশেষ পছন্দ অনেকের।

শহরের ‘উত্তম জলযোগ’–এর স্বত্বাধিকারী প্রদীপ পাল জানান, সাধারণ দিনের চেয়ে রোজায় তারা দ্বিগুণ-তিন গুণ জিলাপি বিক্রি করেন। শেষ দিকে বিক্রি আরও বাড়ে। এখন দিনে তিন মণ জিলাপি বিক্রি হচ্ছে। এটি আরও বাড়বে।

শহরের জালালাবাদ বেকারির মালিক মোহাম্মদ আবদুল হাশিম জানালেন, তাঁদের এখানে ইফতারির বহু পদ আছে। সবগুলোই বিক্রি হয়। তবে বাকরখানি বিক্রি হচ্ছে বেশি। বিক্রির দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে জিলাপি।

আরও পড়ুন

সুনামগঞ্জ শহরে ইফতারির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শহরের বেকারি ও রেস্তোরাঁগুলোয় মূলত রমজানে ইফতারসামগ্রী বিক্রি হয়। এর বাইরে কিছু কিছু ছোট দোকানেও ইফতারসামগ্রী বিক্রি হয়। শহরের পুরোনো বাসস্ট্যান্ড, স্টেশন রোড, ডি এস রোড, মধ্যবাজার, কাজীর পয়েন্ট, উকিলপাড়া, ষোলঘর মল্লিকপুর ও ওয়েজখালী এলাকায় ইফতারসামগ্রী বিক্রি হয়।

সুনামগঞ্জে ইফতারে অনেকের পছন্দ জিলাপি
ছবি: প্রথম আলো

শহরের স্টেশন রোডের হক রেস্তোরাঁর সামনে ইফতারি বিক্রির সময় কথা হয় ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মী আশরাফুল আলমের সঙ্গে। তিনি বলেন, সকাল থেকে তাঁরা ইফতারির বিভিন্ন পদ তৈরির কাজ শুরু করেন। বিক্রি শুরু হয় মূলত বেলা তিটার পর থেকে। তাঁর ভাষায়, ‘বেচাবিক্রি ভালোই। ক্রেতাদের পছন্দের কথা মাথায় রেখে আমরা ইফতারসামগ্রী প্রস্তুত করি। এখানে আখনি, জিলাপি ও বাকরখানির বিক্রি বেশি।’

জালালাবাদ বেকারিতে ইফতারসামগ্রী কেনার সময় কথা হয় বনানীপাড়া এলাকার বাসিন্দা আইনজীবী আবদুর রায়হানের সঙ্গে। তিনি বলেন, রোজায় প্রায় প্রতিদিনই বাজার থেকে কিছু না কিছু ইফতারসামগ্রী কেনেন। তার মধ্যে বাকরখানি ও জিলাপিও থাকে। তবে সুনামগঞ্জের ইফতারসামগ্রীতে মানুষ আরেকটি পদ বেশি খান বলেন জানান তিনি। এই পদ অবশ্য বাজারে কিনতে পাওয়া যায় না। সেটি হলো নিমপাতাভাজা। সাদা ভাতের সঙ্গে নিমপাতাভাজা অনেকের পছন্দ।

আরও পড়ুন

জালালাবাদ বেকারির কর্মী রনি আহমেদ বলেন, তাঁদের দোকানে বাকরখানি বিক্রি হয় বেশি। প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন হাজার পিস বিক্রি করা হয়। বিক্রির দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে আছে জিলাপি। প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই মণ জিলাপি বিক্রি করেন তাঁরা।