সিলেটে প্রবাসী বাবা-ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা

সিলেট জেলার মানচিত্র

সিলেটের ওসমানীনগরে বন্ধ কক্ষ থেকে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী পরিবারের পাঁচ সদস্যকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধারের পর বাবা-ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। যুক্তরাজ্যপ্রবাসী রফিকুল ইসলাম (৫০) ও ছেলে মাইকুল ইসলামের (১৭) মৃত্যুর ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেছেন রফিকুল ইসলামের শ্যালক দেলোয়ার হোসেন। ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাঈন উদ্দিন প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গতকাল বেলা সোয়া দুইটার দিকে উপজেলার দয়ামির ইউনিয়নের পারকুল মাদ্রাসা মাঠে জানাজা শেষে ধিরারাই খাতুপুর গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-ছেলের লাশ দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

আরও পড়ুন

২৬ জুলাই বেলা ১১টার দিকে ওসমানীনগরের তাজপুর এলাকার একটি বাসার দ্বিতীয় তলার কক্ষ থেকে দরজা ভেঙে রফিকুল ইসলাম, তাঁর স্ত্রী হোসনারা বেগম (৪৫), ছেলে সাদিকুর রহমান (২৫), মেয়ে সামিরা ইসলাম (২০) ও ছোট ছেলে মাইকুল ইসলামকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেছিল পুলিশ। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর রফিকুল ইসলাম ও মাইকুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।

বর্তমানে রফিকুলের স্ত্রী হোসনারা বেগম, ছেলে সাদিকুর রহমান ও মেয়ে সামিরা ইসলাম সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের মধ্যে সামিরার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁরা তিনজনই হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে রয়েছেন। গতকাল দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে তাঁদের খোঁজখবর নিয়েছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটনে পুলিশ কাজ করছে। দ্রুত রহস্য উদ্‌ঘাটন হবে।

নিহত দুজনের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ও সংগ্রহ করা বিভিন্ন আলমত পরীক্ষার ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছে পুলিশ। পুলিশের এক কর্মকর্তা বলছেন, সংগ্রহ করা আলমতগুলোর মধ্য থেকে আশা করা যাচ্ছে কোনো ‘ক্লু’ উদ্‌ঘাটিত হবে। এ ছাড়া প্রবাসীদের স্বজন এবং যে বাড়িতে ভাড়া ছিলেন, সেখানে অবস্থানকারী ব্যক্তিদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

ওসি এস এম মাঈন উদ্দিন বলেন, বাবা-ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় নিহত ব্যক্তির শ্যালক বাদী হয়ে অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক কিংবা গ্রেপ্তার করা হয়নি।

আরও পড়ুন