জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম খালেদা জিয়া হলের প্রাধ্যক্ষকে অব্যাহতি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
ফাইল ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম খালেদা জিয়া হলের প্রাধ্যক্ষ প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক তাহমিনা আক্তারকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (চুক্তিভিত্তিক) রহিমা কানিজ স্বাক্ষরিত এক দাপ্তরিক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

আরও পড়ুন

গত শনিবার দিবাগত রাত তিনটা থেকে ভোর পাঁচটার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম খালেদা জিয়া হল, শেখ হাসিনা হল ও বেগম সুফিয়া কামাল হলে ঢুকে চুরির চেষ্টা ও ছাত্রীদের হেনস্তা করার অভিযোগ ওঠে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এমন ঘটনায় ছাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ ঘটনার জেরে পদত্যাগ করেছেন বেগম সুফিয়া কামাল হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোতাহার হোসেন।

বেগম খালেদা জিয়া হলের প্রাধ্যক্ষের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাওয়ার বিষয়ে তাহমিনা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত কারণে কয়েক মাস আগে উপাচার্য বরাবর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলাম। আমার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।’

হলে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির চুরিচেষ্টা ও গালিগালাজের জেরে অব্যাহতি পেয়েছেন কি না, জানতে চাইলে তাহমিনা বলেন, ‘আমার হলে তেমন ঘটনা ঘটেনি যে তার জেরে আমাকে অব্যাহতি দেওয়া হবে। উপাচার্য বরাবর আমার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।’

তবে এ বিষয়ে জানতে উপাচার্য অধ্যাপক নুরুল আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। বেগম খালেদা জিয়া হলে নতুন প্রাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শারমীন সুলতানা। যোগ দেওয়ার তারিখ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তিনি ওই হলের দায়িত্ব পালন করবেন এবং প্রচলিত নিয়মে সুবিধা ভোগ করবেন বলে রেজিস্ট্রারের অফিস আদেশে বলা হয়েছে।

শারমীন সুলতানা প্রথম আলোকে বলেন, ‘নতুন প্রাধ্যক্ষ হওয়ার চিঠি পেয়েছি। উপাচার্য স্যার যে দায়িত্ব দিয়েছেন, তা যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করব। শিক্ষার্থীদের কল্যাণে যা কিছু করা দরকার, সবই করব।’

হলে চুরিচেষ্টার পরদিন রোববার রাতে ১৩ দফা দাবি নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন বেগম সুফিয়া কামাল হলের ছাত্রীরা। পরদিন হলটির প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোতাহার হোসেন তাঁর দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন।