ভাসানচরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ এক রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচর
ফাইল ছবি

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের একটি ক্লাস্টার ঘরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ওই শিশুর নাম মো. রাসেল (৩)। আজ শনিবার সন্ধ্যায় নোয়াখালী থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে শিশুটি মারা যায়। একই ঘটনায় দগ্ধ নারী, শিশুসহ ছয়জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এর আগে আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৮১ নম্বর ক্লাস্টার ঘরে ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন

জেলা সিভিল সার্জন মাসুম ইফতেখার দগ্ধ এক শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, নিহত শিশু মো. রাসেল ভাসানচরের আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা আজিজুল হকের ছেলে। বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত রাসেল ছাড়াও আরও আটজন দগ্ধ হন। তাঁরা হলেন ওই ক্লাস্টারের সফি আলমের মেয়ে মোবাশ্বেরা (৩) ও ছেলে রবিউল (৫); আবদুল হাকিমের ছেলে বশির উল্যাহ (১৫); আবদুর শুক্কুরের মেয়ে রশিদা (৩); আজিজুল হকের মেয়ে জোবায়েদা (১১) ও ছেলে সোহেল (৫); আমেনা খাতুন (২৪) এবং মোহাম্মদ তৈয়বের ছেলে সফি (১২)।

আরও পড়ুন

আশ্রয়ণ প্রকল্পের কর্মকর্তা ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকালে ক্যাম্পের ৮১ নম্বর ক্লাস্টারের আবদুর শুক্কুরের কক্ষের বারান্দায় থাকা গ্যাসের সিলিন্ডার লিকেজ হয়। একপর্যায়ে গ্যাসের সিলিন্ডারটি বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ৫ শিশুসহ ৯ জন আহত হন। দুর্ঘটনার পরপরই স্থানীয় রোহিঙ্গারা আগুন নিভিয়ে ফেলেন। অগ্নিদগ্ধদের উদ্ধার করে প্রথমে ভাসানচর ২০ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁদের নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে সাতজনকে বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন

ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাওসার আলম ভূঁইয়া বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই স্থানীয় রোহিঙ্গারা আগুন নিভিয়ে ফেলেন। পরে পুলিশ গিয়ে দগ্ধ সবাইকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। আগুনে ক্লাস্টার ঘরটির আংশিক ক্ষতি হয়েছে। বাতাসের সঙ্গে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় আহত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে।

আরও পড়ুন