শ্রীপুরে যুবলীগ নেতার গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় আরও এক ছাত্রলীগের কর্মী গ্রেপ্তার, গুলিসহ অস্ত্র উদ্ধার

গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা এলাকায় যুবলীগ নেতার গাড়ি ভাঙচুর ও গুলি ছোড়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার ছাত্রলীগের তিন নেতা–কর্মী
ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের শ্রীপুরে যুবলীগ নেতা আজিজুর রহমান ওরফে জনের গাড়ি ভাঙচুর ও গুলি ছোড়ার ঘটনায় আরও এক ছাত্রলীগের কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে গুলিসহ আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদক। গ্রেপ্তার তরুণের নাম মো. আনোয়ার হোসেন (২৮)। শ্রীপুর থানায় দ্রুত বিচার আইনে মামলার তিনি ৬ নম্বর আসামি। তাঁর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ শনিবার দুপুরে প্রথম আলোকে মুঠোফোনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন।

আরও পড়ুন

গোয়েন্দা পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গ্রেপ্তার মো. আনোয়ার হোসেন শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পশ্চিমখণ্ড গ্রামের মো. করিমের ছেলে। তিনি ছাত্রলীগের কর্মী বলে জানা গেছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এ ছাড়া ঘটনার পরদিন বৃহস্পতিবার দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হলেন শ্রীপুর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হৃদয় শেখ (২৪) ও ছাত্রলীগের কর্মী মো. শিহাব হোসেন (২৪)। এ নিয়ে এই মামলার ৩ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গোয়েন্দা পুলিশ সূত্র জানায়, শুক্রবার রাতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে মো. শিহাব হোসেনের বাড়ি থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ৭টি তাজা গুলি ও ১৩৫টি ইয়াবা উদ্ধার হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মাদক মামলাসহ ১০টি মামলা আছে। এ ছাড়া গ্রেপ্তার আনোয়ার হোসেনের নামেও শ্রীপুর থানায় বেশ কয়েকটি মামলা আছে।

আরও পড়ুন

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, পুলিশ সুপারের নির্দেশে অভিযান চালিয়ে আসামি গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার হয় গুলিসহ বিদেশি পিস্তল ও মাদক। পরে আসামিদের আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড চাওয়া হয়। আদালত আসামিদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

গত বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে শ্রীপুরের মাওনা এলাকায় গাজীপুর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আজিজুর রহমানের ব্যক্তিগত গাড়িসহ আরও দুটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। আজিজুর রহমান দাবি করেন, মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়া ও চাঁদা না দেওয়ায় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির মোড়লের নেতৃত্বে হামলা করা হয়।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে নাসির মোড়ল বলেন, তিনি বা তাঁর লোকজন গাড়ি ভাঙচুর করেননি। বরং আজিজুর রহমানের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করেছেন। নাসির দাবি করেন, আজিজুর রহমান ও তাঁর সহযোগীরা মাদক ব্যবসায়ী। নিজের অপরাধ ঢাকতে নিজেরাই গাড়ি ভাঙচুরের নাটক সাজিয়েছেন।

এই ঘটনার পর জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক নাসির মোড়ল ও তাঁর সহযোগীসহ মোট ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার শ্রীপুর থানায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা করা হয়। আজিজুর রহমানের মা রেখা রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।