নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে রোহিঙ্গার পা বিচ্ছিন্ন

নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের পশ্চিম তুমব্রু সীমান্তে বিপরীতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পাহাড়। এপারে ধানখেতগুলো বাংলাদেশিদের
ছবি: প্রথম আলো

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির দোছড়ি ইউনিয়নের ছেড়াকুম এলাকার বিপরীতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার শূন্যরেখায় স্থলমাইন বিস্ফোরণে এক রোহিঙ্গার ডান পা বিচ্ছিন্ন হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। নাইক্ষ্যংছড়ির দোছড়ি ছেড়াকুম এলাকায় বাস করা আবদুল কাদের (৩৫) নামের ওই রোহিঙ্গার বাড়ি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে। তাঁর বাবার নাম মীর আহমদ।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্থলমাইন বিস্ফোরণে কাদেরের চোখ ও শরীরের বিভিন্ন অংশ ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। রাত আটটার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থলমাইন বিস্ফোরণে রোহিঙ্গা নাগরিক আহত হওয়ার ঘটনায় স্থানীয় বিজিবি ও পুলিশের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন

আবদুল কাদেরের সঙ্গে হাসপাতালে আসা মোহাম্মদ হোসাইন নামের এক ব্যক্তি জানান, সীমান্তের শূন্যরেখায় গরু আনতে গিয়ে কাদের স্থলমাইন বিস্ফোরণের শিকার হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি সেখানে পড়েছিলেন। বিকেলে খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তারেকুল ইসলাম বলেন, কাদেরের ডান পায়ের হাঁটু পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। চোখেও মারাত্মক জখমের চিহ্ন আছে। ডান পায়ের কিছু অংশ কেটে ফেলতে হয়েছে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাত নয়টার দিকে তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন

এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তের বিপরীতে শূন্যরেখা ঘেঁষে ৩৫ নম্বর পিলারের কাছাকাছি স্থলমাইন বিস্ফোরণে অথোয়াইং তংচঞ্চগ্য (২২) নামের এক বাংলাদেশির বাঁ পা বিচ্ছিন্ন হয়। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।